আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য অচল হয়ে পড়েছে মার্কিন মুলুকের প্রশাসন। শাটডাউন ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগেও, ট্রাম্প-আমলে ৩৫ দিনের শাটডাউন দেখেছে আমেরিকা। ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত চলেছিল শাটডাউন।
এবার কী কারণে এই পরিস্থিতি?
এককথায়, কারণ অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে সবপক্ষের সম্মতি না থাকা। মার্কিন মুলুকে অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। তার আগে সরকার চালানোর জন্য, আরও স্পষ্ট করে বলতে, সরকারের নানা দপ্তর সক্রিয় রাখতে কংগ্রেস নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থের অনুমোদন দেয়। ওই অঙ্কের টাকার জন্য সেনেট সদস্যদের সমর্থন নিয়ে বিল পাশ করাতে হয়। সেখানে ধাক্কা খেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন মুলুকের সেনেট সদস্য সংখ্যা ১০০। বিল পাশের জন্য, তা প্রেসিডেন্টের টেবিলে পাঠাতে সমর্থন লাগবে অন্তত ৬০ জনের। রিপাবলিকানদের সদস্য সংখ্যা ৫৩। অর্থাৎ, অন্তত ৭ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন ছিল ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অর্থবর্ষের বরাদ্দ অর্থের জন্য। কিন্তু তা হয়নি। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপস্থিত হতে না পারার জন্য, থমিকে গিয়েছে ওই ব্যবস্থা। ফলে ব্যয় বরাদ্দ স্থির করতে না পারায় শাটডাউন ট্রাম্প প্রশাসনের। এই আংশিক শাটডাউন সম্পূর্ণ শাটডাউনের দিকে যাবে কি না, তা নিয়েও জোর চর্চা নানা মহলে।
আরও পড়ুন: নবমীর সকালেই দুর্যোগের মেঘ! এই ছয় জেলা ঝড়ে-জলে ছারখার হবে কিছুক্ষণেই? হাওয়া অফিসের লেটেস্ট আপডেটে
কোনও দেশে অচলাবস্থা হলে, কাটে কীভাবে?
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে তথ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার ষষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যামি বেরার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আসন্ন শাটডাউন সম্পর্কে একটি FAQ শিট অনুসারে, সিনেট একটি বরাদ্দ বিল পাস করতে সক্ষম হলেশাটডাউন' শেষ হবে। তাতে বলা হয়েছে, 'সরকারি শাটডাউন শেষ করার জন্য, কংগ্রেসকে পাস করতে হবে এবং পেসিডেন্টকে শাটডাউন করা বিভাগ এবং সংস্থাগুলিকে তহবিল দেওয়ার জন্য শাটডাউন বিলগুলিতে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রেসিডেন্টের একতরফাভাবে শাটডাউন শেষ করার ক্ষমতা নেই। তহবিল বিলগুলি অন্য কোনও বিলের মতো একই আইনসভা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, প্রেসিডেন্ট আইনে স্বাক্ষর করার আগে হাউস এবং সেনেট উভয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।' এর অর্থ হল হাউসে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের শর্তাবলীতে একমত হতে হবে। মূল বিপত্তি ঘটছে যেখানে।
মার্কিন মুলুকে কী হবে শাটডাউনের ফলে?
মূলত সরকারের দতরগুলির কার্যক্রম সক্রিয় রাখার কারণেই প্রয়োজন অর্থের। তা না মেলায় সরকারের নানা দপ্তর বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সরকারের নানা কার্যক্রম। সূত্রের তথ্য তেমনটাই। জরুরি পরিস্থিতিতে কেবল আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকার সম্ভাবনা। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে তথ্য, এই শাটডাউন জনসেবা এবং বৃহত্তর মার্কিন অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে ব্যাপক হারে। তথ্য, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) বেশিরভাগ কর্মী কাজ চালিয়ে যাবে। একইসঙ্গে তথ্য, হোমল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, যদি সরকারী অচলাবস্থা দেখা দেয় তবে সংস্থার প্রায় ২৭১,০০০ কর্মচারীর মধ্যে প্রায় ১৪,০০০ জনকে ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। ডিএইচএস পরিকল্পনায় আরও বলা হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিরাপত্তা পরিষেবা সুরক্ষা প্রদান, দেশে আগত যাত্রী এবং পণ্যসম্ভার প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন প্রয়োগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে শাটডাউন পরিস্থিতি চললেও। তথ্য, ফেডারেল সরকারের কাছে পরবর্তী আর্থিক বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত মেডিকেডের তহবিল সরবরাহ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। ফলে ওই দপ্তর খুব বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে না বলেই ধারনা।
