আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই চলে এসেছে এই লড়াই। কে এগিয়ে কে পিছিয়ে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরণের জল্পনা-তর্ক। অবশেষে মিলে গেল উত্তর। চা প্রেমীরা হারিয়ে দিল কফি প্রেমীদের। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে কফি চায়ের থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে। এমনটি স্ট্রোকের ক্ষেত্রেও আপনাকে বাঁচিয়া রাখতে পারে চা।


গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যদি আপনি দিনে চার কাপ কফি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে যদি আপনি চার কাপ চা খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনেক বেশি ভাল থাকবেন।

 


মার্কিন দেশের নাগরিকদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি থাকে। রক্ত যদি সঠিকভাবে শিরা এবং ধমনী নিয়ে প্রবাহিত না হতে পারে তাহলে কাজ করা বন্ধ করে দেয় হার্ট। এমনকি মানুষের মগজেও সঠিক রক্ত চলাচল না করা হলে সেখানেও ঘটতে পারে বিপত্তি। সেখানেই উঠে এসেছে এই তথ্য।


মার্কিন দেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। দেখা গিয়েছে তারা বেশিরভাগই কফি খেতে পছন্দ করে থাকেন। কফি বেশি খেলে হার্টের কাজ বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং মানসিকভাবে আপনি অকেজো হয়ে যেতে পারেন। 

 


এরপর ধীরে ধীরে আপনার দেহের নানা নার্ভ অকেজো হয়ে যেতে পারে। এক কাপ কফির দেহের মধ্যে ২ দিন পর্যন্ত তার কাজ করতে থাকে। ফলে যারা একটু অসুস্থ হয়ে থাকেন তারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। 


কফি বেশি খেলে বেশ কয়েকটি মারণ রোগ সহজেই দেহে বাসা বাধে। শরীরের মাংসপেশীর কাজ কম হতে শুরু করে। রক্ত চলাচলে বাধা তৈরি হয়। কিডনিও কাজ করা বন্ধ দিতে পারে। যাদের বমির রোগ রয়েছে তাদের কাছে কফি বিষের সমান। আর এসব থেকে দেহকে বাঁচিয়ে রাখে চা। নিজের গুণ অনুসারে চা দেহকে ভাল রাখে। সুস্থ রাখে।