আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকল ঝড়কে হার মানাবে নতুন এই ঝড়। মার্কিন দেশের পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়টি। ঝড়ের সঙ্গে থাকবে প্রচুর বৃষ্টি যা সকলকে পঙ্গু করে দেবে। কাউকে বাইরে পা দিতে দেবে না। পাশাপাশি থাকবে বিরাট বন্যার প্রভাব। বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব থেকে বাঁচতে পারবে না কোনও দেশই।


সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা অনেকটি হেরফের হয়েছে। ফলে সেখান থেকে তৈরি হয়েছে নতুন ঝড়ের সম্ভাবনা। ১৯৯৩ সালে এমনই একটি ঝড় এসেছিল। এটি ছিল সবথেকে বেশি ভয়ানক। এর গতিবেগ ছিল ১০০ মাইল প্রতি ঘন্টা। পাশাপাশি ছিল বিরাট বরফের সমস্যাও। সেবারে মারা গিয়েছিল ২০০ জন মানুষ। এই ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়া, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়ার মানুষরা। সেখানে প্রচুর মানুষ নিজেদের জীবন হারিয়েছিলেন। 


পেনলিসভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল মান জানিয়েছেন এই এলাকাটি এর আগেও এমন বিরাট ঝড় দেখেছে। ফলে সেখানে প্রচুর মানুষের মৃত্যু সকলকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই সমস্ত ঘটনা বিশ্ব উষ্ণায়নের সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করা হয়েছে। তবে এখানে আরও একটি বিষয় বলা যায় সেটি হল বহু বছর পর এই ধরণের একটি ঝড় ফের আসতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে তার গতি এবার আগের তুলনায় হতে পারে অনেকটা বেশি। ফলে এবার ক্ষতির পরিমান আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


ঐতিহাসিক দিক থেকে এই ঝড়গুলিকে যদি বিচার করা যায় তাহলে সেখানে দেখা যাবে এগুলি এসেছে ১৯৪০ সাল থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের মধ্যে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৯০০ টি ঝড় এসেছে। একটি হিসেব থেকে দেখা যায় এই ঝড়গুলি বছরে ৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। ফলে ঝড়ের দিক থেকে বিচার করলে এগুলি আগামীদিনে আরও বাড়তে পারে।


সমুদ্রের জলের লবণের পরিমান বাড়ছে। এটি মোটেই সুখের খবর নয় সকলের কাছে। গবেষকরা মনে করছে দক্ষিণ সাগরের জলে এই বিরাট পরিবর্তন আগামীদিনে সকলকে ভুগিয়ে মারবে। বিশেষ করে আন্টার্কটিক সাগরের জলে এই নুনের পরিমান বেশি করে ধরা পড়ছে। ফলে সেখান থেকে এটি একটি বিরাট ক্ষতির সামনে এনে দেবে সকলকে।


ইউরোপের স্পেস এজেন্সি বিষয়টি মহাকাশ থেকে লক্ষ্য করেছেন। সেখান থেকেই উপগ্রহ চিত্র থেকে ধরা পড়েছে কীভাবে সমুদ্রের জলের রং ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। এটি পরিবেশ পরিবর্তনের একটি বড় কারণ হিসেবে সামনে আসতে পারে।


যদি সাধারণভাবে দেখা যায় তাহলে সমুদ্রের জলে লবণের মাত্রা বেশি থাকবে তাতে অসুবিধা নেই। তবে যখন সেই লবণের মাত্রা অতিরিক্ত হবে তখন সেটি হবে পরিবেশের পক্ষে মারাত্বক ক্ষতিকর। 


২০১৫ সাল থেকে আন্টার্কটিকার বরফের গলন বাড়তে শুরু করেছে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এই গোটা এলাকায় গলে যাওয়া বরফ থেকে জলের পরিমানও বাড়ছে। তবে এবার সেই বরফের সঙ্গে মিশছে নুন। এবার বরফ থেকে গলে যাওয়া এই নুন সমুদ্রের জলে লবণের পরিমান বাড়িয়েছে। সমুদ্রে থাকা প্রাণীরা এরফলে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হবে। তাদের ক্ষতি হবে সবার থেকে বেশি।

আরও পড়ুন: মাথায় হাত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের, এ কী হল সোনার বাজারে


সাধারণত পরিষ্কার জল যদি গরম হয়ে যায় তাহলে সেটি বাষ্প হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। তবে জলে যদি লবণের পরিমান বেশি থাকে তাহলে জলের মধ্যের তাপ বাইরের দিকে বেরিয়ে যেতে পারে না। তখন সেই তাপ জলের নিচের দিকে যেতে থাকে। ফলে সমুদ্রের নিচের জল প্রচুর গরম হবে যার ফলে গোটা সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র প্রভাবিত হবে।


যদি সমুদ্রের জল বেশি গরম হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে পরিবেশে বিরাট প্রভাব পড়বে। এরফলে বিশ্ব উষ্ণায়নের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে গোটা পৃথিবী। জলের অর্থ হল জীবন। তবে এবার সেই জলের হাতেই শেষ হবে মানুষের জীবন।