আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোটো মাছ খেতে সকলেই পছন্দ করেন। ছোটো মাছের নানা ধরণের পদ রান্না হলে তার স্বাদ নিতে সকলেই পছন্দ করেন। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ছোটো নদী থেকে শুরু করে সমুদ্র সর্বত্রই ছোটো মাছের প্রতি সকলেই ছুটে যায়। ফলে সেখান থেকে অগনিত ছোটো মাছ প্রতিদিন মারা পড়ছে।

 


এটা সকলেই জানেন মাছ যত ছোটো হবে ততই তার পুষ্টিগুন বেশি থাকবে। অন্যদিকে বড় মাছের পুষ্টিগুন কম থাকে। বড় মাছ ছোটো মাছকেই খেয়ে নিজের জীবন কাটায়। এর মানে হল তাদের দেহে পুষ্টিগুন বেশি থাকে না। ওয়ান আর্থের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে পৃথিবী থেকে ক্রমশ উবে যাচ্ছে ছোটো মাছ। ফলে আগামীদিনে মাছের আকাল হবে সর্বত্র।

 


বড় মাছ যারা বেশি খেয়ে থাকেন তারা সেই মাছের বংশবৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করেন। সেখানে অনেক সময় দেখা যায় বড় মাছের ডিম থেকে নতুন মাছ তৈরি না হয়ে সেই ডিম মানুষের পেটে চলে যায়। ফলে সেখান থেকে বড় মাছ আর নিজের বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। অন্যদিকে ছোটো মাছ সংখ্যায় বেশি থাকে বলে তাদের সকলকে ধরা যায় না। তারা ঝাঁকে থাকে বলে সেখান থেকে কিছু মাছ ধরা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ফলে ছোটো মাছ নিয়মিতভাবে নিজেদের বংশের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে চলে।


ছোটো মাছের দেহে যে পরিমানে প্রোটিন এবং অনুজীব থাকে তা মানুষের দেহে বিশেষ উপকার করে থাকে। বিশেষ করে চোখের ক্ষেত্রে ছোটো মাছের উপকার সবথেকে বেশি। তাই চিকিৎসকরাও ছোটো মাছ বেশি খেতে বলে থাকেন। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে আমাজন নদীতে প্রায় ৬০ প্রজাতির ছোটো মাছ রয়েছে। তাদের পুষ্টিগুন এতটাই বেশি যে সেখান থেকে বহু মৎস্যজীবী বিরাট অর্থ আয় করে থাকেন। 


বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ছোটো মাছের বাজার ভালো। তাই অনেকে না জেনেই ছোটো মাছ দ্রুত তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে পৃথিবীতে ছোটো মাছের আকাল দেখা যাবে। তখন যে সহজ পুষ্টি সরাসরি মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে সেটা আর হবে না। তখন কম পুষ্টির বড় মাছ খেয়েই দিন কাটাতে হবে।