আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু’ দেশের সংঘর্ষবিরতির পর, মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাক্ষাৎ করে সেনাদের সঙ্গে। মঙ্গলবার পাঞ্জাবের আদমপুর এয়ারবেস পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

ঠিক তার পরের দিন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শিয়ালকোট এবং পসরুর বিমানঘাঁটিতে গেলেন সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাতে। বুধবার শাহবাজ শরিফ পাক-সেনাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শরিফ যেখানে গিয়েছিলেন, সেই জায়গা দেখে স্পষ্ট ভারত কীভাবে হামলা চালিয়েছে সে দেশে। জায়গাটিকে কোনও সম্ভাব্য ভারতীয় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি বলে জানাচ্ছে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা। 

এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরে, অনেকেই বলছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সস্তা নকল করতে চেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, পাকিস্তান দাবি করেছিল হামলায় তারা ভারতের আদমপুর এয়ারবেস প্রায় ধ্বংস করেছে। অস্ত্রবিরতির পরেই, প্রধানমন্ত্রী ঠিক আদম পুর এয়ারবেসে গিয়েই সাক্ষাৎ করলেন জওয়ানদের সঙ্গে। 

পহেলগাঁও হামলা, তার প্রত্যাঘাতে অপারেশন সিঁদুর এবং তারপরেই, গত ৯ মে মধ্যরাতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর-এর পাল্টা পাকিস্তান দেশের বিভিন্ন এয়ারবেসে হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যেকটি হামলার কড়া জবাব দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান যে সমস্ত এয়ারবেসকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে ছিল পাঞ্জাবের আদমপুর এয়ারবেসও।


ভারতের উন্নতমানের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তানের হামলাকারী ড্রোনকে। প্রসঙ্গত, এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তাদের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হাইপারসনিক মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। কিন্তু সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দেয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ফলে, হামলার কোনও আঁচই পড়েনি সীমান্তবর্তী এলাকায়। একই সঙ্গে ভারতের তরফে সাফ জানানো হয়, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটি। পাক-সেনা জঙ্গি দমনে সহায়তা না করে, জঙ্গিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে সংঘর্ষ শুরু করে ভারতের সঙ্গে।