আজকাল ওয়েবডেস্ক : গোটা বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে নিল রাশিয়া। বিষয়টি নিয়ে এখন চলছে বিরাট বিশ্লেষণ। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া। জানা গিয়েছে পূর্ব রাশিয়াতে সাদা হাইড্রোজেন পেয়েছে তারা। বিশ্বের বাজারে এখন হাইড্রোজেন গ্যাসের বিরাট প্রভাব রয়েছে। সেখানে রাশিয়া যদি সঠিকভাবে এই হাইড্রোজেন গ্যাসকে ব্যবহার করতে পারে তাহলে তাদের কাছে মাথা নত করতে সকলে।
প্রকৃতির বিরাট শক্তি হল এই সাদা হাইড্রোজেন। এর থেকে শক্তিশালী এবং কার্যকরী কিছুই হতে পারে না। ফলে রাশিয়া যদি চায় বিশ্বকে হাইড্রোজেন নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারে। একটি বিরাট এলাকা জুড়ে এই হাইড্রোজেন রয়েছে। সেখান থেকে একে সংরক্ষণ করার কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছে তারা। এই আবিষ্কার রাশিয়াকে বিশ্বের কাছে অনেকটাই শক্তিশালী করে দিল বলেই মনে করছে সকলে।
জানা গিয়েছে ১.৮ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই সাদা হাইড্রোজেন। রাশিয়ার গবেষকরা মনে করছেন এখানে প্রায় ৬৫.৭ মিলিয়ন গ্যাস রয়েছে। এর পরিমান আরও বেশি হতে পারে। শুধু ঘরের দিকেই নয়, বিভিন্ন দেশকে যদি রাশিয়া এই সাদা হাইড্রোজেন বিক্রি করতে পারে তাহলে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি প্রায় ১০ গুন উন্নতি ঘটবে।
রাশিয়ার এই এলাকায় বেশ কয়েকটি গ্যাসের প্ল্যান্ট রয়েছে। সেখান থেকে নিয়মিত হারে গ্যাস তোলার কাজ চলে। তবে হঠাৎ করে এই নতুন সাদা হাইড্রোজেন গ্যাস রাশিয়াকে যেন বাড়তি শক্তি দিয়েছে। আমেরিকা, চিনের মতো শক্তিশালী দেশগুলি মনে করছে যদি রাশিয়া এই গ্যাসকে ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করে তাহলে বিরাট ধাক্ক খাবে গোটা বিশ্ব।
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা বিশ্ববাসীকে সমস্যায় ফেলতে চান না। যে সাদা হাইড্রোজেন গ্যাসের ভান্ডার তারা পেয়েছেন তাকে সঠিক কাজেই ব্যবহার করা হবে। তবে রাশিয়ার যা মতিগতি তাতে তাকে বিশ্বাস করছে না বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি। রাশিয়া এবার এই সাদা হাইড্রোজেন গ্যাসকে নিয়ে রাশিয়া কী করে সেটাই দেখার।
