আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুশীলা কারকি। নেপালের অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি জানিয়েছেন, সে দেশে নির্বাচন কবে। এবার আরও বড় পদক্ষেপ। জানা গেল, অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার জন্য তিনজন নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন কারকি। তথ্য, কুলমন ঘিসিং, রামেশ্বর খানাল এবং ওম প্রকাশ আরিয়ালকে মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন তিনি।

নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল সোমবার তাঁর নবগঠিত মন্ত্রিসভার জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির মনোনীত তিনজন মন্ত্রীকে শপথ বাক্য পাঠ করান। 

নেপালের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন প্রাক্তন অর্থ সচিব রামেশ্বর খানাল, নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমন ঘিসিং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, জলসম্পদ ও সেচ, ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন, এবং নগর উন্নয়ন।

আরও পড়ুন: কোলে সদ্যজাত, চিন্তা আরও হাজার হাজার শিশুদের নিয়ে, ৩০ লিটার স্তনদুগ্ধ দান জ্বালার

অ্যাডভোকেট ওম প্রকাশ আরিয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি আইন, বিচার এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। মহারাজগঞ্জের শীতল নিবাসে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর, তিনজন মন্ত্রীই তৎক্ষণাৎ তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

 

শনিবার নেপাল অন্তবর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকি ঘোষণা করেছেন, ২০২৬-এর মার্চ মাসেই সে দেশে নির্বাচন হবে। সরকার ভেঙে যাওয়া, অর্থাৎ ওলির পদত্যাগের পরেই, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, সুশীলা শনিবারেই জানিয়েছেন, আগামী বছরের ৫ মার্চ, নেপালের ভোট। 

বুধবার জেন জি-রা ভার্চুয়াল বৈঠকে  নিজেদের পছন্দের কথা জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ বিক্ষোভকারীরা চাইছেন, নেপালের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি বসুন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে। ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। বদলে যায় পছন্দ। জানা যায়, সুশীলা নয়, কুলমন ঘিসিংয়ের উপর আস্থা তাঁদের। ২৪ ঘণ্টা কাটেনি, শুক্রবার ফের জানা যায়, কুলমন নয়, আস্থা ফের সুশীলাতেই। শুক্রবার রাতে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

 

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, তাঁর রয়েছে ভারত-যোগ। তথ্য, সুশীলা বিরাটনগরের মহেন্দ্র মোরাং কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর, উত্তরপ্রদেশের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বেনারস থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কারকি পরে নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ওই পর্বের পড়াশোনা শেষ হয় ১৯৭৮ সালে। বুধবার এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে কারকি জানিয়েছেন, তিনি জেন জি-দের আবেদন মেনে, এই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। একইসঙ্গে তিনি তাঁর বিএইচইউ শিক্ষার কথা স্মরণ করেছেন। জানান, তিনি এখনও তাঁর প্রয়াত শিক্ষক এবং বন্ধুদের স্মরণ করেন ভিন দেশে বসেও। তাঁর মনে পড়ে গঙ্গার কথা, নদী তীরে হস্টেলের কথাও।