আজকাল ওয়েবডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। যা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করল ভারত। ঢাকার মন্তব্য 'অযৌক্তিক' বলে পূর্ব প্রান্তের প্রতিবেশীকে কড়া কথা শুনিয়েছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি, ঢাকাকে সেদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ৮ এপ্রিল সংঘটিত হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, "আমরা ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।"

এর জবাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে, "এটি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন এবং ভুল প্রচেষ্টা। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অপরাধীরা বাংলাদেশে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য ও নৈতিকতা প্রদর্শনের পরিবর্তে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগী হওয়া।"

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">April 18, 2025

নয়াদিল্লি, বাংলাদেশকে পাল্টা আক্রমণ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর গত মাসেই সংসদে জানিয়েছিলেন যে, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর ২৪০০টি অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে তখনও পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল ৭২। ফলে, বিদেশমন্ত্রীর সেই বক্তব্য়ের প্রেক্ষিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভারতের এই কড়া প্রতিক্রিয়া বেশ তাৎপর্যবাহী।

সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে,  প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা জড়িত আছে। তবে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপে মুর্শিবাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন যে, সংখ্য়ালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।