আজকাল ওয়েবডেস্ক: জিম্বাবোয়ের উত্তরের বিপজ্জনক মাতুসাদোনা জাতীয় অরণ্য়। এই অরণ্যে সিংহের আবাস বলেই বিখ্যাত। এছাড়াও বহু হিংস্র জন্তুদের দাপাদাপি। এই মারাত্মক জঙ্গলেই পাঁচ দিন ধরে বেঁচে ছিল আট বছরের এক শিশু। শেষে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মুতসা মুরোমবেদজি জানিয়েছেন, ফল খেয়ে এবং কূপ খনন করে জল খুঁজে পান করে পাঁচ দিন বেঁচে ছিল শিশুটি।
দ্য মেট্রোর খবর অনুসারে, টিনোটেন্ডা পুণ্ডু গত ২৭ ডিসেম্বর উত্তর জিম্বাবোয়েতে তার গ্রাম থেকেই হারিয়ে গিয়েছিলো। এরপর প্রায় ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত মাতুসাদোনা জঙ্গলে ঢুকে পড়ে সে। পাঁচ দিন ধরে সেখানেই আটকে ছিল শিশুটি। সংসদ সদস্য মুরোমবেদজি জানান, শিশুটি পাঁচ দিন পাথরের ওপর ঘুমিয়েছিল, গর্জনরত সিংহের মাঝে এবং হাতিদের চলাচলের মধ্যেই বুনো ফল খেয়ে বেঁচে ছিল।
বর্তমানে মাতুসাদোনা অরণ্য়ে প্রায় ৪০টি সিংহ রয়েছে, যা একসময় আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি সিংহের বাস বলে পরিচিত।
সংসদ সদস্য মুরোমবেদজি জানান, টিনোটেন্ডা গ্রাম্য পরিবেশে বসবাসের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অরণ্যে নিজেকে রক্ষা করেছে। শুকনো নদীর বুকে লাঠি দিয়ে কূপ খুঁড়ে খরাপ্রবণ অঞ্চলে জল সংগ্রহ করা হয়। অরণ্যে এই কৌশল প্রয়োগ করেছিল শিশুটি। স্থানীয় ন্যামিন্যামি সম্প্রদায়ের মানুষ শিশুটিকে খুঁজে বের করার জন্য প্রতিদিন ড্রাম বাজিয়ে তার সন্ধান চালাত। শেষ অবধি রেঞ্জাররা তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
পঞ্চম দিনে, শিশুটি রেঞ্জারের গাড়ির শব্দ শুনে দৌড়ে আসে। প্রথমবারের চেষ্টায় রেঞ্জাররা তাকে খুঁজে পায়নি। কিন্তু পরে তাঁরা মানব শিশুর পায়ের ছাপ দেখে তল্লাশি চালাতে থাকে এবং শিশুটিকে খুঁজে পায়।
সামাজিক মাধ্যমে শিশুটির সাহসিকতার প্রশংসা করছেন অনেকেই। কেউ লিখেছেন, 'এটা মানুষের কল্পনার বাইরের বিষয়।' আরেকজন মন্তব্য করেছেন, 'শিশুটি স্কুলে ফিরে এক দুর্দান্ত গল্প শোনাবে।'
