আজকাল ওয়েবডেস্ক: মায়ানমারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ফলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভেঙে পড়েছে একটি নির্মীয়মাণ ৩০ তলা বহুতল। সেই ঘটনাস্থল থেকে চার চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিপর্যয়স্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। ওই চারজনের কাছ থেকে মোট ৩২টি ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কক পুলিশ।

গত শুক্রবার মধ্য মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩০ তলা বিশিষ্ট নির্মীয়মাণ বহুতল ভবন ধসের ঘটনায় চীন-সমর্থিত একটি নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ব্যঙ্কক প্রশাসন। অসম্পূর্ণ ভবনটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে, ধুলো এবং ধ্বংসাবশেষের মেঘ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকে পড়েন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি।

বহুতলটি ভেঙে পড়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ওই জায়গাটিকে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। অনুমতি ছাড়া সেখানে কারও প্রবেশ সম্ভব নয়। কিন্তু পুলিশ হঠাৎ জানতে পারে, কয়েক জন ওই এলাকায় ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নথি সরানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যে চার জন নথি চুরি করতে ঢুকেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জনের কাছে বৈধ কাগজ ছিল। তিনি ওই নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাকি তিন জন এলাকায় ঢুকেছিলেন বেআইনি ভাবে। তাঁরা যে নথি চুরি করেছিলেন, তার মধ্যে ছিল বহুতল তৈরির নকশা এবং নির্মাণ সংক্রান্ত দরকারি কাগজপত্র। 

চার জনকেই অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে নথিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরে রবিবার, চাতুচাক জেলা কর্তৃপক্ষ ধসে পড়া বহুতলের ধ্বংসস্তূপের জায়গায় প্রবেশ করে এবং ধসে পড়া ভবন থেকে নথিপত্র সরিয়ে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য পাঁচজন চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ফলস্বরূপ, পুলিশ চারজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পঞ্চম ব্যক্তি, তাঁদের নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।