আজকাল ওয়েবডেস্ক: আমাদের সকলের অজান্তে বিষ প্রবেশ করছে সকলের দেহে। সেই বিষের নাম মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই বস্তুটি দেহে প্রবেশ করছে বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং পানীয় জলের মাধ্যমে। তবে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দিক সকলের জন্য বলে দিয়েছেন যার ফলে সহজেই এই বিষাক্ত বস্তু থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন।
চিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ধরণের বিষ থেকে নিজেদের বাঁচাতে হলে সবার আগে দরকার জল এবং খাবার গরম করে খাওয়া। আপনি সারাদিন যা খাবেন তার বেশিরভাগ যদি ফোটানো খাবার বা পানীয় হয় তাহলে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক দেহে প্রবেশের আগেই নষ্ট হয়ে যাবে। জলের মধ্যে এর দানাগুলিকে বোঝা যায় না। তাই জল পান করার আগে সেটিকে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে হবেই। যেকোনও ধরণের জলের মধ্যেই এই বিষ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিনা গবেষকরা।
বাড়িতে আসা জলেও থাকতে পারে এই বিষ। খাবারের মধ্যেও দেখা গিয়েছে এই বিষাক্ত প্লাস্টিকের রমরমা। এরফলে দেহে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এরফলে সবার আগে দেহে যে প্রভাব বিস্তার হতে পারে সেটি হল দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিলুপ্তি। যদি দেহে রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাই নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে যেকোনও রোগের শিকার হতে পারেন আপনি। হয়তো এমনটাও দেখা যেতে পারে খুব সামান্য রোগ হলেও আপনি সহজে কাবু হয়ে যেতে পারেন।
গোটা বিশ্বের জলের সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ জলের মধ্যে রয়েছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক। যেখানেই জলের উৎস রয়েছে সেখানেই দেখা গিয়েছে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক। প্লাস্টিক এমন একটি বস্তু যা পৃথিবীতে ধ্বংস হয় না। যেখানকার জিনিস সেখানেই থেকে যায়। এমনকি মাটিও একে ধ্বংস করতে পারে না। একে মোকাবিলা করার একমাত্র পথ হল গরম। তাই একে গরম জল দিয়েই শেষ করা যায়।
প্রতিনিয়ত সমুদ্র এবং নদীর জলে যে প্লাসিক মিশেছে সেগুলি ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জলের কণার মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এই কণাগুলি পরবর্তীকালে খাবারের জলে সরাসরি আমাদের দেহে প্রবেশ করেছে। এর থেকে এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ নেমে আসবে।
