আজকাল ওয়েবডেস্ক:  পাকস্থলীর ক্যান্সার হল পাকস্থলীর আস্তরণে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি। এটি গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার নামেও পরিচিত। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বদহজম, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ক্ষুধামান্দ্য। গুরুতর ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস, জন্ডিস, খাবার গিলতে অসুবিধা এবং মলের সাথে রক্ত আসতে পারে। 


পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ:
জীবনযাত্রার কারণ: ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। 


ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ: হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি  নামক ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর আস্তরণে সংক্রমণ ঘটিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, বংশগত কারণেও পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে। 


অন্যান্য কারণ: কিছু রোগের কারণেও পাকস্থলীর ক্যান্সার হতে পারে, যেমন দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রাইটিস, পলিপস, এবং অ্যানিমিয়া। 
পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ: 
প্রাথমিক লক্ষণ: বদহজম, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, এবং ক্ষুধামান্দ্য।


গুরুতর লক্ষণ: ওজন হ্রাস, জন্ডিস, খাবার গিলতে অসুবিধা, মলের সাথে রক্ত আসা।


অস্ত্রোপচার: প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্ত হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা হয়।


কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।


রেডিওথেরাপি: রেডিওথেরাপি ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা হয়।


ইমিউনোথেরাপি: ইমিউনোথেরাপি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করে।


এর থেকে রক্ষা পেতে হলে ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, যাতে প্রচুর ফল, সবজি এবং ফাইবার থাকে। নিয়মিত ব্যায়াম করা। হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি সংক্রমণ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা করা। এটি একটি নিঃশব্দ ঘাতক। ফলে এর হাত থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। তাই আগে থেকেই এর সঙ্গে লড়াই করতে হবে। দৈনন্দিন খাবার যদি সঠিক থাকে তাহলে সেখান থেকেই এই ক্যান্সারকে রোখা যায়।