আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিনের যে ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে তা নিয়ে এবার মুখ খুলল চিন। যেভাবে সামাজিক মাধ্যমে হাসপাতালগুলিতে ভিড় দেখানো হয়েছে তা নিয়ে বলতে গিয়ে চিনের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়ে দিল হাসপাতালে ভিড় হয়েছে ঠিকই তবে সেটা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। 

 


চিনের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শীতকালে এই ধরণের রোগ তাদের দেশে আগেও হয়েছে। সেখান থেকে সঠিক ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে তারা রোগীদের সুস্থ করে তুলেছেন। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অন্য আরেকটি মাধ্যম। তবে বিগত বছরের তুলনায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ হার এবারে বেশি হয়েছে। যারা এই ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করছেন তাদের চিন্তা করার কিছুই নেই। চিনা সরকার এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

 


ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসের ডিরেক্টর অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, এইচএমপিভি চিনে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এই খবর সঠিক। তবে ভারতের এই কারণে চিন্তা নেই। তাই যারা এখনই গেল গেল রব তুলেছেন তাদের কথা শোনার দরকার নেই। ভারতের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি এই ভাইরাসের আক্রমণ ভারতে হয়ে থাকে তাহলে এখানকার হাসপাতালগুলি তৈরি রয়েছে। পর্যাপ্ত বেড এবং চিকিৎসাব্যবস্থাও তৈরি করে রাখা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এবিষয়ে কোনও সতর্কতা জারি করেনি। 


প্রসঙ্গত, চিনে হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে। মূলত ১৪ বছর বয়সের নীচের শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাসের প্রকোপে প্রচুর মানুষ হাসপাতালমুখী হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট থেকে দেখা গিয়েছে শুধু হাসপাতালে ভিড় নয়, লম্বা লাইন শ্মশানের সামনেও।

 

এইচএমপিভি আদতে কী? জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রেও করোনা কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই উপসর্গ দেখা দেয়। হালকা জ্বর, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। মূলত শীতের সময়ে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই রোগের উপর চিন নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে শনিবার চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি কতটা সঠিক তা জানার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করে থাকতেই হবে।