আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্য করেছে। পাকিস্তান এই ঋণের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বললেও, ভারত এই ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
অনেকেরই ধারণা ঋণ থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে জঙ্গিদের মদত করবে পাকিস্তান। এর পাশাপাশি অস্ত্রও কিনবে প্রতিবেশী দেশটি। অনেকে মনে করছেন, আইএমএফের টাকা দিয়ে ভারতে মতো এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে পারে পাকিস্তান।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চীন রাশিয়ার কাছ থেকে যে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে, তা ভারতের কেনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো নয়। এতে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। পাকিস্তানের কাছে এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করে রাশিয়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করবে না।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার পুরনো বন্ধু। পুতিনের দেশ থেকে অনেক অস্ত্র কিনেছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, রাশিয়া তার এস-৪০০ পাকিস্তানকে দিয়ে ভুল করবে না। কারণ, পাকিস্তান এই রাশিয়ান প্রযুক্তি আমেরিকার হাতে তুলে দিতে পারে। যদি তা ঘটে তবে এটি রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে।
দ্বিতীয়ত, আইএমএফ পাকিস্তানকে যে বিশাল ঋণ দিয়েছে তা অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে দিয়েছে। আইএমএফ থেকে পাওয়া ঋণের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। সংস্থাটি তার অর্থ কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করে। এই ঋণ দেওয়ার উদ্দেশ্য, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অন্যান্য সংস্কার। যদি পাকিস্তান এই অর্থ রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনতে খরচ করে, তাহলে আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলি ক্ষুব্ধ হবে। পাকিস্তান পরের বার থেকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, এই অর্থ পাওয়ার পরেও পাকিস্তানের পক্ষে এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা সহজ হবে না।
