আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের দেখা গেল সুনামি। এরফলে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন এই সময়ে যদি এমন একটি সুনামি আসে তাহলে সেটি বিশ্বের পক্ষে মোটেই সুখের হবে না।
গ্রিনল্যান্ডের পূর্বদিকে এই সুনামির ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে। সেখানে টানা ৯ দিন ধরে চলছে নজরদারি। মনে করা হচ্ছে এই সুনামির জলের ঢেউ প্রায় ৬৫০ ফুট। প্রতি ৯২ সেকেন্ড অন্তর এই সুনামির ঢেউ দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও এখনও কোনও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে এরফলে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অস্ট্রেলিয়া। তবে এটি এখন সেখান থেকে বহু দূরে রয়েছে। তবে কখন প্রকৃতির কোন খেয়াল হবে তা নিয়ে কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না।
তবে হঠাৎ করে কীভাবে এই এলাকায় দেখা গেল সুনামি। স্যাটেলাইটের ছবি থেকে দেখা গিয়েছে এখানকার একটি বিরাট বরফের পাহাড় হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকে এই সুনামি তৈরি হয়েছে। তবে যতটা উচ্চতায় এটি উঠেছে সেটা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন সকলে। এটি যেকোনও ছোটো শহরকে ডুবিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
যেমনভাবে গাড়ির ইঞ্জিনের পিস্টন ওঠানামা করে ঠিক তেমনভাবেই এই সুনামির জেরে গ্রিনল্যান্ডের মাটি প্রায় ৩০ ফুট ওপরের দিকে উঠে যায়। এই এলাকা মূলত শীতল হলেও কেন এখানে এমন একটি পাহাড় ভেঙে গেল সেটা বুঝতে পারছেন না কেউই। এটি মাটির বহু গভীর থেকে হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এই রহস্যের সমাধান করা সহজ হবে না এটা জানেন বিজ্ঞানীরা। তবে তারা হাল ছাড়তে নারাজ। যদি মাটির নিচে এতটা আন্দোলন দেখা যায় তাহলে সেখান থেকে ভূমিকম্পের আভাস পাওয়া যেতে পারে।
যারা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন সেখান থেকে দেখা গিয়েছে সুনামির অবস্থা সঠিকভাবে এখনও তৈরি হয়নি। তবে যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
