আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজন মানুষের গড় আয় হয়ে থাকে ৭০ থেকে ৮০ বছর। এরপর থেকেই দেহে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হতে শুরু করে। মানুষ যত প্রবীণ হতে শুরু করে ততই তার দেহের ক্ষমতা কমতে থাকে। সেখান থেকে নিজেকে ফিট রাখার থেকে কঠিন কাজ আর কিছুই হতে পারে না। জীবনে বেঁচে থাকার সংগ্রামের থেকে কঠিন কিছুই হতে পারে না।
তবে এখানেই চিনের এক মহিলা সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি সকলের ধারণাকে বিফল করে দিয়ে বয়সকে হার মানিয়েছেন। তার নাম কিউ চায়সি। বাড়ি চিনের নানচং প্রদেশে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি নিজের ১২৪ তম জন্মদিন পালন করেছেন। ১৯০১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিগত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি চিনের নানা ইতিহাস নিজের চোখে দেখেছেন। প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের বিবর্তন সবই তিনি দেখেছেন নিজের চোখে।
নিজের ছয় প্রজন্মকে নিজের চোখে দেখেছেন এই মহিলা। ফলে তাকে ঘিরে তার পরিবারের সকলের আগ্রহ তুঙ্গে। তবে নিজের পরিবারের সঙ্গে তিনি নিজের দীর্ঘজীবনের রহস্য ফাঁস করেছেন। এই বয়সেও তিনি যে কতটা সক্রিয় রয়েছেন তার বেশ কয়েকটি উপায় তিনি নিজের পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। প্রতিদিন তিনি তিনবার করে খাবার খান। তিনবার থেকে সেটি চারবার হয় না। সারাদিন তিনি ঘরে খানিক সময় বাদেই হেঁটে বেড়ান। এরফলে তার হজমক্রিয়া সঠিক থাকে। প্রতিদিন রাত ৮ টা নাগাদ তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন অনেক ভোরে তিনি উঠে পড়েন।
এই বয়সেও তিনি নিজের বাড়ির সিঁড়ি ভেঙে উপরের দিকে উঠতে পারেন। কুমড়ো, তরমুজ এবং সিদ্ধ করা চাল তার দৈনন্দিন খাবারের প্রধান অংশ। এর বাইরে তিনি কিছুই খান না। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। দেখে বোঝাই যায় না তিনি কতটা সংযমী জীবনযাপন করেন।
বিয়ের আগে তার ফিটনেস ছিল অসাধারণ। সেই বিষয়ে তিনি বিয়ের পরেও জোর দিয়েছিলেন। ফলে তার দীর্ঘজীবন নিয়ে তার সংযমী জীবনের একটি বড় দিক ছিল। তার বয়স যখন ৪০ ছিল তখন তিনি স্বামীকে হারান। তখন নিজের চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি দিন কাটিয়েছেন। তবে কখনই নিজের দৈনিক রুটিনের বাইরে যাননি।
