আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিনেমার পর্দায় তো অনেকে নানা ধরণের ভূতের ছবি দেখেছেন। তবে আসলে ভূত কেমন দেখতে হয় সেটা অনেকের কাছেই অজানা। তবে এবার এবিষয়ে একটি বিশেষ দিক দেখা গিয়েছে। ১০০ মিলিয়ন বছর আগের একটি জম্বি ফাঙ্গাস বা ভূতের ছত্রাক পাওয়া গিয়েছে যেটি থেকে আক্রান্ত হত সেই সময়কার প্রাণীরা। এর হাত থেকে কেউ রক্ষা পেত না।


বার্মা থেকে এই জম্বি ফাঙ্গাসের ফসিল হাতে এসেছে। সেটি এতটাই ভয়ানক যে তাকে দেখতে গিয়ে অনেকের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে। মায়ানমার থেকে মিলেছে এই ভূতকে। ফলে প্রাচীন কাল থেকে যে ভূতের খবর সকলের সামনে গল্প হয়ে আসত তা খুব একটা মিথ্যা নয় বলেই মনে হচ্ছে। 


লন্ডনের ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম থেকে এই ফাঙ্গাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা জানিয়েছেন এটি অতি দ্রুত একটি দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ত। ফলে নিজের সংখ্যা বাড়াতে বেশি সময় নিত না। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ফলে এর শক্তি ছিল অনেক বেশি। যেকোনও প্রাণীকে এই ভূত অতি সহজেই কায়দা করে নিত। আর একবার যাকে ধরত তাকে শেষ না করে ছাড়ত না।


এটি প্রধানত বড় প্রাণীদের দেহে হামলা করত। ফলে সেখান থেকে এদের ছড়িয়ে পড়তে সুবিধা হত। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ডাইনোদের পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়ার পিছনে এদের একটা বিরাট হাত ছিল। যেকোনও সজীব প্রাণীকে অতি সহজে নির্জীব করে দিত এই ভূতের ফাঙ্গাস। এর থেকেই আধুনিক যুগের সমস্ত রোগ তৈরি হয়েছে বলেও অনুমান করছেন গবেষকরা।


বর্তমান সময়ে যেমন করে প্রতিটি ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে হামলা করে তাকে কমজোর করে দেয়। ঠিক তেমনভাবেই এই ভূতের ফাঙ্গাস দেহকে শেষ করে দিতে পটু ছিল। এটি এত দ্রুত ছড়িয়ে যেত যে তাকে রোখা যেত না। ঠিক মহামারির মতো প্রতিটি সজীব কোষকে এটি আক্রমণ করত। 


চলতি সময়ে প্রায় ১৫০০ টি এমন ফাঙ্গাস বা ছত্রাক রয়েছে যেগুলি বিভিন্নভাবে সকলকে হামলা করে। তবে এই ভূতের ছত্রাকের হামলা ছিল অতি ভয়ানক। অতি সহজে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেত না। এটি অনেকটা মশার মত যার হাত ধরে ম্যালেরিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে। দেহ থেকে সমস্ত পুষ্টি শোষণ করে নিয়ে এরা দেহকে একেবারে ছোবড়ার মতো করে দিত। ফলে এদের শক্তি সম্পর্কে অনেকেই হতবাক।

আরও পড়ুন:  এবার আসছে পিএইচডি এআই! মাস্কের কথায় মাথায় হাত বাকিদের


এই ছত্রাকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল অতি দ্রুত এরা সংখ্যায় বাড়তে পারত। ফলে সেখান থেকে এরা যে কোনও শক্তিশালী প্রাণীকে হারাতে পারত। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যদি বর্তমান সময়ে ফের এদের বাঁচিয়ে তোলা যায় তাহলে এদের সেই ধ্বংসকারী শক্তি কী ফিরে আসবে। নাকি তাকে কাজে লাগিয়ে অন্যকিছু করা যাবে। 


যে ফসিলটি পাওয়া গিয়েছে সেটি বহু বছর ধরে মাটির নিচে ছিল। সেখান থেকে প্রাণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বিবর্তনের ইতিহাসকে দেখলে এই প্রাচীন ফসিলগুলি থেকে যে তথ্য সামনে আসে তাতে পৃথিবীর অনেক অজানা রহস্য পাওয়া যায়।