আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়ংকর কান্ড উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার এক মহিলা সহ চারজনের মৃতদেহ। ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয় তাদের। জানা গিয়েছে, বাকি তিনজন ওই মহিলার দুই ছেলে এক মেয়ে। মহিলার স্বামী নিখোঁজ। পরে স্বামীর খোঁজ মেলে একটি নির্মাণস্থল থেকে। পুলিশের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বারাণসীর ভাদাইনি এলাকার ঘটনা। মহিলার নাম নিতু গুপ্তা, বয়স ৪৫ এবং দুই ছেলে এবং এক মেয়ের নাম নবনেন্দ্র (২৫), গৌরাঙ্গী (১৬) এবং শুভেন্দ্র গুপ্তা (১৫)। স্বামী রাজেন্দ্র গুপ্তা। মঙ্গলবার অনেক সকাল পর্যন্ত বাড়ির দরজা ছিল বন্ধ। তাতে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা দরজা ধাক্কালে মৃতদেহগুলো দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারে, পারিবারিক বিরোধের কারণে খুন হয়ে থাকতে পারে। পরিবারের কর্তা রাজেন্দ্র গুপ্তা একটি দেশীয় মদের ব্যবসা চালাতেন, তিনি ছিলেন ৮-১০ টি বাড়ির মালিক এবং প্রতি মাসে আয় ছিল লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু পরিবারের কর্তা সকাল থেকেই ছিল নিখোঁজ। তদন্তে উঠে আসে রাজেন্দ্র গুপ্তা একাধিক খুনের মামলার আসামি ছিলেন। পরে রাজেন্দ্র গুপ্তার মৃতদেহ র উদ্ধারের পর পুলিশের সন্দেহ হয়, গুপ্তা তাঁর পরিবারকে খুন করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।
এরপর পুরোনো অতীত ঘাঁটতে গিয়ে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর আগে সে তাঁর বাবা, ভাই ও বোনকে হত্যা করেছিল। বর্তমানে সে মামলায় জামিনে মুক্ত ছিল। নিতু গুপ্তা ছিল তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। জানা যায়, তিনি এক তান্ত্রিকের কাছে ঘনঘন যেতেন। তাঁর নির্দেশে প্রচুর কাজ করতেন রাজেশ গুপ্তা। পরিবারকে হত্যা করে নিজের আত্মহত্যার পেছনেও রয়েছে সেই তন্ত্রসাধনা, এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। সেই তান্ত্রিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বারানসী পুলিশ।
