আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন করাই ছিল উদ্দেশ্য। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ উদ্ধারের দিন কয়েক পরেই গ্রেপ্তার নববধূ সোনম সহ চারজন। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, ভাড়াটে খুনি দিয়ে রাজাকে খুন করার ছক কষেছিলেন খোদ সোনম। উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। অবশেষে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি তিনজনের মধ্যে দু'জনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে এবং একজনকে ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেঘলায়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ভয়ঙ্কর পরিণতি মধ্যপ্রদেশের যুবক রাজার। ২ জুন নিখোঁজ যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাজা ও সোনম মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা। গত মাসে মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ মে শেষবার তাঁদের দেখা গিয়েছিল। শেষদিন নংরিয়াতে গিয়েছিলেন। শিপারা হোমস্টে থেকে একসঙ্গে বেরোতে দেখা গিয়েছিল। তারপর কেটে গেছে ১১ দিন। দু'জনের কোনও খোঁজ পায়নি আপনজনেরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে মেঘালয় পুলিশ।
অবশেষে ড্রোন উড়িয়ে তাঁদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গত সপ্তাহে পাহাড়ি খাদের মধ্যে থেকে রাজার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে তারা। নিথর দেহের পাশেই ছিল রক্তমাখা ছুরি, ফোন। পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে তাঁরা স্কুটি রেখেছিলেন, তার ২৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি খাদ থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ এও জানিয়েছিল, এটি আত্মহত্যার ঘটনা নয়। পরিকল্পনামাফিক যুবককে খুন করা হয়েছে। রাজার পরিবারের তরফে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছিল।
