আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই রাজ্যে ভোটগ্রহণ বুধবার। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রের বাইরে পড়েছে লাইন। একদিকে ভোটগ্রহণের দ্বিতীয় দফা চলছে ঝাড়খণ্ডে অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে চলছে ভোট গ্রহণ। সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা গেল সচিন তেন্ডুলকর, অক্ষয়কুমার সহ হেভিওয়েট নেতাদের। 

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 20, 2024

 

 

মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট আজ। জনসংখ্যার নিরিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে এক দফাতেই হচ্ছে ভোটগ্রহণ। একদিকে রয়েছে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি এর জোট অন্যদিকে রয়েছে কংগ্রেস শরদ পাওয়ারের এনসিপি সহ অন্যান্যরা। মহারাষ্ট্রের মোট ভোটার রয়েছেন নয় কোটি ৭০ লক্ষ। এবারের ভোটে শাসক এবং বিরোধী দল মিলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৪১৩৬ জন। শাসকজোটের বৃহত্তম দল বিজেপি লড়ছে ২৫৫ আসনে। তাঁদের সকলেরই ভাগ্যগণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। 

 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">November 20, 2024

 

 

 

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ বর্তমানে বেশ জটিল। গতবার ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি এবং শিবসেনার জোট জেতে। তখনও শিবসেনা ভাগ হয়নি। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে উদ্বব ঠাকরের সঙ্গে বিজেপির বিরোধ বাধে। ফলে সরকার গঠনের বিষয়টি ঝুলে থাকে। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। অবিভক্ত এনসিপির নেতা অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বেশিদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেননি দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্বব ঠাকরে। রাজনৈতিক টানাপোড়েনে একটা সময় তাঁকেও ছাড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রীর আসন। ২০২২ সালের জুন মাসে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনায় ভাঙন ধরে। তখন বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হন শিন্ডে। 

 

 

প্রসঙ্গত, ২০২৪ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই খুন হয়ে গিয়েছেন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। অন্যদিকে ভোট কিনতে বিজেপির নেতা টাকা ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ভোট গ্রহণের ঠিক আগেরদিন মঙ্গলবার ১৫ কোটি টাকা দিয়েছেন ভোট কেনার জন্য এই অভিযোগে বিজেপির শীর্ষনেতা বিনোদ তাওড়েকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। সেই নিয়ে উত্তাল সেখানকার রাজ্য রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। এইবার বিধানসভা ভোটের ফলাফল কোন শিবিরের পক্ষে যায় সেটাই এখন দেখার।