আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবক এবং যুবতীর মধুর সম্পর্কের সূচনা হয় বিয়ের মাধ্যমে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের পরেই এমন ঘটনা ঘটল, যা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। মধুচন্দ্রিমার দিন নববধুর দাবি শুনে ভিরমি খেলেন যুবক এবং তাঁর পরিবার। দ্বারস্থ হতে হল পুলিশের।
 
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরের। বিয়ের পর প্রথম রাতে অর্থাৎ মধুচন্দ্রিমার দিন 'মুখ দেখা' নিয়ম পালনের সময় স্বামীর কাছে বিয়ার চেয়ে বসলেন নববধূ। শুধু তা-ই নয়, সঙ্গে গাঁজা এবং পাঁঠার মাংসও। নববধূর এই আবদারে স্তম্ভিত স্বামী ও তাঁর পরিবার পরিজনেরা। নতুন স্ত্রীয়ের দাবি মেনে বিয়ার এনেও দিয়েছিলেন ওই যুবক। এর পরেই নববধূ গাঁজা এবং পাঁঠার মাংসের দাবি জানাতে শুরু করেন। কিন্তু স্ত্রীর এই দাবি আর মেনে নিতে পারেননি ওই যুবক। পরিবারকে এই বিষয়ে সবটা জানান তিনি। পরিবারের সকলে মিলে আলোচনা করে নববধূর নেশা করার জিনিসের আবদার নিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানান। 

পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িক ভাবে মিটে যায়। দুই পক্ষকেই শান্তভাবে বোঝানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি। এর পরে আচমকাই ছেলের বাড়ি থেকে দাবি করা হয় নববধূ মহিলা নন, তৃতীয় লিঙ্গের। এই দাবি শুনে চমকে যান সকলেই। প্রাথমিক ভাবে মতের মিল না হলেও। দুই পক্ষই থানা থেকে বেরিয়ে যান। তাঁরা পুলিশকে জানান, এই বিষয়টি তাঁরা বাড়ির চার দেওয়ালের মাঝেই মিটিয়ে ফেলবেন।