আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই সঙ্গে চলবে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে নিউ ইয়র্কের আদালত। 

ফৌজদারি অভিযোগগুলির মধ্যে রয়েছে 'ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাক্টিসেস আ্যাক্ট' লংঘনের পাশাপাশি সিকিয়োরিটিজ সংক্রান্ত এবং ওয়্যার (টেলিফোন-সহ বৈদ্যুতিন যোগাযোগ মাধ্যম) ব্যবহার করে প্রতারণার ষড়যন্ত্র। দেওয়ানি আইনেও অভিযোগ আনা হয়েছে শেয়ার এবং ঋণপত্রের বাজারের নিয়ম লংঘন সংক্রান্ত প্রতারণার।

এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট জজ নিকোলাস জি গারাফিস।

বাজারের চেয়ে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত পেতে অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সরকারি আধিকারিকদেরঘুষ দিয়েছিল গৌতম আদানির মালিকানাধীন 'আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড', অভিযোগ এমনই। ঘুষের অঙ্ক ২৬.৫ কোটি ডলার (২০২৯ কোটি টাকা)। তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার ন্যায়বিচার দফতর এবং বাজার নিয়ন্ত্রক এসইসি সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যথাক্রমে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে অভিযোগপত্র পেশ করেছিল।

সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এবার আদানিদের বিরুদ্ধে তিনটি দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার একসঙ্গে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল। 

তবে আদানি গোষ্ঠী সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, গৌতম ও সাগরের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়নি ইনডিক্টমেন্টে। আনা হয়েছে তথ্য গোপন করে প্রতারণার অভিযোগ। সাধারণ ভাবে ঘুষের অভিযোগের তুলনায় ওই অভিযোগের শাস্তি কম। অভিযুক্তদের শুধু জরিমানা করা হতে পারে। তবে আদানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে সরব ভারতের রাজনীতি। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস।