আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেয়ের জন্য ইনসুলিন কেনার ক্ষমতাটুকুও নেই। অসহায় বাবার কান্না ফেসবুক লাইভে। শুধু তাই নয়, লাইভ চলাকালীন আত্মহত্যা করলেন বাবা। মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসতেই চোখে জল নেটিজেনদের।

ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একজন এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। কাজের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক সমস্যায় পড়েন তিনি। ঘাড়ের উপর চাপে বিপুল ঋণের দায়। একজন প্রায় সফল ব্যবসায়ীর ক্রমাগর দেনায় এমন পরিস্থিতি হয়, তাঁর আর জীবনযাপনের সামর্থ্য টুকুও ছিল না।

আরও পড়ুন:  হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম রাজসাক্ষী তাঁরই সরকারের পুলিশকর্তা! আদালতে গিয়েই যা বলে বসলেন অন্যতম অভিযুক্ত, তোলপাড় পদ্মাপারে

নিজের মেয়ে অসুস্থ। ওষুধ কেনার টাকা টুকুও নেই বাবার। এই অসহায়তা তিনি আর মেনে নিতে পারেননি বাবা হয়ে। ফেসবুক লাইভে এসে সকলের সামনে নিজের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। কান্নাকাটি করে, ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ঠিক তার পরেই, মুহূর্তে সকলের সামনে নেন নিজের জীবন নিয়ে চরম সিদ্ধান্ত। গুলি করে আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি। কোথায় পেলেন ওই ব্যক্তি গুলি? জানা গিয়েছে, অফিসের  নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে পোস্ট করা ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে, ব্যবসায়ী সেলিব্রিটি এবং শিল্পপতিদের কাছে তার পরিবারের জন্য সহায়তার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি আর ঋণ এবং আর্থিক বাধ্যবাধকতার চাপ সহ্য করতে পারছেন না।


ফেসবুক লাইভেই তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তার মেয়ের জন্য জীবন রক্ষাকারী ইনসুলিন কেনার জন্য অর্থের ব্যবস্থাও করতে পারছেন না।

ওই সময়ে ব্যক্তি অফিসে থাকায়, পরিবারের লোকজন ছিলেন না তাঁর কাছে। ফেসবুক লাইভ দেখে, তৎক্ষণাৎ পৌঁছন সেখানে। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। পুলিশও তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তির অফিসে পৌঁছন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। পরিবার পৌঁছে দেখেন, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। 

প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিনি তীব্র আর্থিক চাপের মধ্যে ছিলেন এবং গত কয়েক বছর ধরে কয়েক কোটি টাকার ঋণ হয়েছে তাঁর। তারপরেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কেন এই সিদ্ধান্ত? কীভাবে রক্ষীর অস্ত্র ব্যবহার করলেন ওই ব্যবসায়ী, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও।