আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মণিপুরী। এক বাবা, দু' বছরের ছেলের গলায় বিষ ঢেলে, ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ছাদ থেকে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পরের দিনেও থমথমে গোটা এলাকা। 

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মণিপুরী এলাকার রাজ বাহাদুর, তার ছেলেকে ছুড়ে ফেলে দেন ছাদ থেকে। এর আগে, রাজ বাহাদুরের ঝামেলা হয় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রাজ বাহাদুর তাঁর স্ত্রী যমুনাবতীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একাধিক বিষয় নিয়ে তর্ক হয়। আচমকা গোটা ঘটনা এমন মোড় নেয়, যমুনাবতী তর্ক থামিয়ে কাজে চলে যান ভয় পেয়ে। নিজের কাজ করছিলেন যমুনাবতী। আর তখনই রাজ বাহাদুর উঠে যান ছাদের উপর। সেখানেই খেলছিল তাদের দু' বছরের সন্তান ললিত। 

আরও পড়ুন: প্রথমবার চাকরিতে ঢুকলেই মিলবে মোটা অঙ্কের টাকা! স্বাধীনতা দিবসে যুবক-যুবতীদের জন্য বিরাট ঘোষণা মোদির...

রাজ বাহাদুর ছাদে উঠেই ললিতকে ধরে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। তারপরেই তাকে কীটনাশক খাইয়ে, ছাদ থেকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ রাজ বাহাদুরের বিরুদ্ধে। পরিবারের লোকজন, গ্রামের বাসিন্দারা ললিতকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানায় ললিতের ঘাড় ভেঙে গিয়েছে। ললিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ললিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।


দু' বছরের শিশুর মৃত্যু ঘোষণার পর, রাজ বাহাদুর ঘরে ফিরে এসে, আবারও ছাদে দৌড়ে যান। এবার সে একটি ছুরি নিয়ে অন্যদের ভয় দেখান। বারবার বলতে থাকে, যদি কেউ ধারেকাছে যায়, তাহলে নিজেকে শেষ করে দেবেন। তার মাঝেই পুলিশ পৌঁছয় সেখানে। তবে রাজ বাহাদুরের পরিস্থিতি দেখে পুলিশ আতকে ধরার জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করে। 

পুলিশ চলে যাওয়ার ভান করে। তখন গ্রামের কয়েকজন রাজ বাহাদুরকে তামাক কিনতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নীচে নামায়। তার পরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে। এর আগে তিনি কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে পুলিশ তাঁকে একবার গ্রেপ্তার করতে এলে, ছাদ থেকে ইঁট ছুঁড়েছিলেন বলেও জানা যায়। 

রাজ বাহাদুরের বোন লক্ষ্মী, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাত বছর আগে এটাহের  যমুনাবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় রাজবাহাদুরের। দম্পতির দুই ছেলে। অঙ্কুশ এবং ললিত। লক্ষ্মী জানিয়েছেন, তাঁর দাদা প্রায় রোজই মদ্যপান করে ঘরে ফিরতেন। তাঁর যমুনাবতীর উপর অবিশ্বাস ছিল, ললিত তাদের ছেলে নয়, এই প্রসঙ্গ তুলে, যমুনাবতীকে সন্দেহ করে আগেও একাধিকবার পরিবারে অশান্তি করেছে সে।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কীটনাশক নিয়ে মাঠে যাবার আগে স্ত্রীর কাছে মদ খাওয়ার টাকা চান। যমুনাবতী দিতে অস্বীকার করলে শুরু হয় বিবাদ।

 

এর আগে, বৃহস্পতিবারেই সামনে এসেছিল বারাণসীর আর এক ঘটনা। মায়ের পরকীয়ার সম্পর্ক জেনে ফেলেছিল ছেলে। নিজেদের ঘরেই অন্যের সঙ্গে মা-কে অশালীন অবস্থায় দেখে ফেলে ছেলে। ঠান্ডা মাথায় পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে পরামর্শ করে ছেলেকে খুন করান মা। ঠিক তার পরেই সামনে এসেছে মণিপুরীর ঘটনা।