আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথা ছিল একসঙ্গে লড়াই করার। কিন্তু অভিভাবক বেঁচে থাকতে তা আর দেখে যেতে পারেননি। মতপার্থক্য, ক্ষমতার অলিন্দে থাকার বাসনা পৃথক করেছিল পথ। মাঝে বয়ে গিয়েছে দু’ দশক। মহারাষ্ট্রে সরকার বদলেছে, রাজনীতির সমীকরণ বদলেছে। ফের বদলের সম্ভাবনা। ফের মারাঠাভূমের সমীকরণ বদলে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে চলেছেন তাঁরা। বলছেন ভোট লড়বেন একসঙ্গে, দুই ভাই মিলেই শাসন করবেন মহারাষ্ট্র।

রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে। গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা দু’ জনের এক হওয়ার। সেই জল্পনার অবসান ঘটে গিয়েছে একপ্রকার।   প্রায় দু’ দশক পর একসঙ্গে মঞ্চে এসে একজোট হয়ে লড়ার বার্তা দিয়েছেন রাজ এবং উদ্ধব। এই দুজনের একত্রিত হওয়ার পুরধা হিসেবে কাজ করেছে বর্তমান সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। শনিবার মঞ্চে রাজ ঠাকরে বলেওছেন, যা বালা সাহেব করতে পারেননি, আরও অনেকে পারেননি, তা করেছেন ফড়ণবীশ। তাঁর সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাতেই মূলত এক হয়েছেন দু’ জনে। 


জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ অনুসারে স্কুলে তিন ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্রের মারাঠি এবং ইংরেজিমাধ্যম স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল শুরু হয় রাজ্যে। বিতর্কের মধ্যে আপাতত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইস্যুতে ঠাকরে ভাইদের একজোট হওয়া। উদ্ধব ঠাকরে শনিবার জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের পুরভোটে দুই ভাই লড়বেন জোড় বেঁধে।


চলতি বছরের শেষ দিকে বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচন। অনেকেই আগেই বলেছিলেন হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে দুই ভাইয়ের কাছাকাছি আসার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্ক। পুর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে একজোট হচ্ছেন উদ্ধব এবং রাজ ঠাকরেরা।তাঁরা যে একজোট হচ্ছেন জানিয়ে দিলেন তাও। এবার দেখার শিবসেনার হিন্দুত্ববাদ বনাম গেরুয়া শিবিরের হিন্দুত্ববাদের লরাইয়ে মহারাষ্ট্রের মানুষ ভোট দেন কোনদিকে।