নিতাই দে, আগরতলা: ত্রিপুরার কমলাসাগরে কসবেশ্বরী মায়ের মন্দিরে পূজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো স্বামী-স্ত্রীর। রবিবার দুপুরে ঘটে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। খোয়াই জেলার বাসিন্দা দিবাকর ঘোষ (পেশায় বিলোনিয়া ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী) স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে নিয়ে মন্দির থেকে স্কুটি করে বিশালগড়ের নৌকা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
পরিবারের বাকি সদস্যরা অন্য গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ দিবাকরের বাবা দেখতে পান গোকুলনগর টিএসআর ক্যাম্পের সামনে তাদের ছেলে এবং ছেলের স্ত্রী স্কুটি ও ইকো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জনই গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে ভিড় জমে গেলে TSR ক্যাম্পের জওয়ানরা এলাকাবাসীরা মিলে দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। দিবাকর ঘোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে নিয়ে যাওয়া হয় হাঁপানিয়া হাসপাতালে, আর প্রিয়াঙ্কা ঘোষকে পাঠানো হয় বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা উভয়কেই মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিলেন দিবাকর ঘোষ। অপরদিকে প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ছিলেন তাঁর পরিবারের একমাত্র কন্যা। স্বামী-স্ত্রীর এই অকালমৃত্যুতে গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব প্রমাণে ঠিক কোন কোন নথি লাগবে? সংসদে কী উত্তর দিল কেন্দ্র জেনে নিন
পুলিশ মৃতদেহ দুটি মর্গে পাঠিয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্তের পর দেহ হস্তান্তর করা হবে পরিবারের হাতে। অন্যদিকে রবিবার মনসা পূজোর শাপলা ফুল আনতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে মৃত্যু হলো অমলকান্তি সাহার। ঘটনা ত্রিপুরা গোমতী জেলার উদয়পুরের মাতারবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের চন্দ্রপুর কলোনী এলাকায়। মৃত অমলকান্তি সাহা পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুল তুলতে নেমে আর ওপরে উঠতে পারেননি তিনি। তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গোমতী জেলা হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা চন্দ্রপুর এলাকায়। এদিকে বাড়ির পূজার্চনা মাঝপথেই থেমে যায়।
