আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাঁচ বছর পর ভারতে ফিরছে টিকটক? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলল এই জল্পনা। নেটিজেনদের কেউ কেউ লিখলেন, ‘ওয়েবসাইট খুলছে!’ কেউ বা বললেন, ‘ভিডিও দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সাইট অ্যাক্সেস করা যাচ্ছে।’ কানাঘুষো শুরু হতেই ফুঁসে উঠল কেন্দ্র। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, চিনা শর্ট ভিডিও মেকিং প্ল্যাটফর্ম TikTok, অনলাইন শপিং সাইট AliExpress এবং Shein–এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি।
 
 ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরার পর থেকেই চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ হয়েছিল ভারতে। শুক্রবার তুমুল জল্পনা রটে যায়, ৫ বছর পর নিষেধাজ্ঞা উঠে ফের ভারতে চালু হতে চলেছে টিকটক। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় এটাও রটে যায় যে, বেশ কিছু গ্রাহক ইতিমধ্যেই নিজেদের স্মার্টফোনে টিকটক ব্যবহার করতে পারছেন। তবে হোম পেজ ছাড়া আর কোনও ফিচার খুলছে না। আবার AliExpress এবং Shein সাইট দু’টির ক্ষেত্রেও হোম পেজ দেখা গেলেও শপিং করা যাচ্ছে না। জল্পনায় ইতি টেনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সাফ বক্তব্য, ‘ভারতে টিকটক আনব্লক করার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি।  এ ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর।’
আরও পড়ুন: মহাকাশে নজির গড়ার পথে আরও একধাপ, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনের মডেল প্রকাশ ইসরো-র...
 
 প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ২০২০ সালে দেশে নিষিদ্ধ হওয়া একাধিক চিনা অ্যাপ ফেরানো হয়েছিল। ভারত–চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছিল Xender, TanTan সহ একাধিক চিনা অ্যাপ। তবে এসবের মধ্যেও ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল টিকটক। ফলে সেটি ফেরার খবর রটে যেতেই আনন্দে মেতে ওঠেন বহু ভারতীয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, কোনওমতেই টিকটকের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে না ভারতে। 
 
 এদিকে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০–র বেশি নিষিদ্ধ মোবাইল অ্যাপ অরিজিনালের বদলে ক্লোনড ভার্সন অর্থাৎ নকল নাম নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে প্লেস্টোরে। অ্যাপল অ্যাপেও কমপক্ষে এমন ৩৬টি নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপের নকল ভার্সন উপলব্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন:  সুপ্রিম কোর্ট এবং পশুপ্রেমীদের মতভেদের মাঝেই বিরাট দুর্ঘটনা, ছাত্রীর মুখ খুবলে খেল পথকুকুরের দল, পড়ল ১৭টি সেলাই
 
 ২০২০ সালের ২৯ জুন নরেন্দ্র মোদি সরকার আচমকাই টিকটক সহ প্রায় ৫৮ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তথ্য চুরির মতো গুরুতর আশঙ্কার বিষয়টিই এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। ByteDance সংস্থার তৈরি টিকটক অ্যাপের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি এবং প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার গালওয়ানে চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে সংঘর্ষের সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এই টিকটিক অ্যাপ। সে বছর জুন মাসের ১৫ তারিখে গালওয়ানে ঘটেছিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। যাতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছিলেন। গত ৪৫ বছরের মধ্যে গালওয়ানের সেই সংঘর্ষ ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। 
