আজকাল ওয়েবডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের অংশ হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোন মোকাবিলা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ড্রোন প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারকে সামনে রেখে শুক্রবার বিশেষ মহড়ার আয়োজন করল ২১ আসাম রাইফেলস ত্রিপুরা সেক্টর। জওয়ানরা নিজেদের প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন ড্রোন থেকে সরাসরি ফায়ারিং, শত্রুপক্ষের ড্রোন শনাক্ত ও ধ্বংস করার প্রক্রিয়া এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আঘাত হানার কৌশল। এই মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা, রাজ্য পুলিশের মহা-নির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব প্রদীপ চক্রবর্তী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আইজি আসাম রাইফেলস। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষও প্রদর্শনীতে অংশ নেন।

মহড়া শেষে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে দেশ সুরক্ষিত। অপারেশন সিঁদুর আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। ত্রিপুরায় আসাম রাইফেলস দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ড্রোন প্রদর্শনী তাদের দক্ষতা ও পারদর্শিতার প্রতিফলন’। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ত্রিপুরা পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানদেরও এই ড্রোন প্রযুক্তির আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আসাম রাইফেলসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ফোর্স অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত ত্রিপুরার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দিনের শেষে বিকেলে ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নান্নু আসাম রাইফেলস ময়দানে ড্রোন শো পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন: পাঁচ বছর পর টিকটক ফিরছে ভারতে?‌ জানুন মোদি সরকার কী বলছে

সেখানে তিনি ২১ সেক্টর আসাম রাইফেলস এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর দেশজুড়ে অসামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়।৫৪ বছর পর এই ধরণের মক ড্রিলের ঘোষণা করে ভারত। ব্ল্যাক আউটও হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ব্ল্যাক আউট হল শত্রুর বিমান এসে যদি হামলা করে তাহলে সেখানে যাতে কম ক্ষতি হয় সেদিকে নজর রাখা। শত্রুর বিমান যাতে রাতের বেলা কোনও আলো দেখতে না পারে সেজন্য করে দেওয়া হতে পারে ব্ল্যাক আউট। এই পরিস্থিতিতে রাস্তার আলো, বিভিন্ন কারখানার আলো, যানবাহনের আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সেখানে দেশের প্রধান শহরগুলি এবং বড় বাজারগুলিতে এই নির্দেশিকা সবার আগে কার্যকর করা হবে। রাতের বেলা যাতে শত্রুর বিমান হামলা চালিয়ে কোনও ক্ষতি না করতে পারে সেজন্য ব্ল্যাক আউট করা হতে পারে বলেই খবর। এই সময় বেশকিছু নিয়ম সকলকে মেনে চলতে হবে। রাতের বেলা যদি বাড়িতে আলো জ্বলে তাহলে তার পাওয়া বে ২৫ ওয়াট। সেই আলো যেন ২০ ফুটের বেশি দূর থেকে না দেখা যায়। রাতের বেলা বিভিন্ন উঁচু বাড়ির আলো জ্বালানো যাবে না। যদি বাড়ির ছাদে কোনও আলো জ্বলে তাহলে তাকেও বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলা কোনও গাড়ির আলো জ্বলবে না।

সেখানে গাড়ির আলোর ওপর ব্লাউন পেপার দেওয়া থাকবে। গাড়ির আলোর ওপরের দিক সেখানে ঢাকা থাকবে। নিচের দিকে খোলা থাকবে। যে সময় কোনও শত্রুর বিমান প্রবেশ করবে তখনই সেটা আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই ভারতীয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে যে বার্তা দেওয়া হবে। তারপরই গোটা এলাকায় ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হবে। চার ধরনের এয়ার রেড করা হবে। প্রথমত, হলুদ এয়ার রেড। দ্বিতীয়ত লাল এয়ার রেড, তৃতীয়ত গ্রিন এয়ার রেড এবং চতুর্থত হোয়াইট এয়ার রেড। শত্রুর বিমানের গতিবিধি লক্ষ্য করে এগুলি দেওয়া হবে।