আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি পাঞ্জাবের ভাতিন্ডায় এক রহস্যজনক মৃত্যু। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।  মৃতদেহটি আদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি গাড়ির ভিতরে ছিল। গাড়িটি সেখানে পার্ক করা ছিল। জানাজানি হতেই হুলুস্থুল চারিদিক।

পাঞ্জাবের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কাঞ্চন কুমারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত কোমল কৌর নামে। তাঁর এই পরিণাম দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। ফলে কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার বিভিন্ন দিক তদন্ত করতে বাধ্য হয়েছে। ভাতিন্ডা পুলিশ অভিযুক্ত জসপ্রীত সিং এবং নিমরতজিৎ সিং নামে দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে। সূত্রে জানা গেছে ওই দুই অভিযুক্ত 'নিহং' সম্প্রদায়ের। শিখ ধর্মের এক যোদ্ধা সম্প্রদায় 'নিহং'। তাঁরা তাঁদের প্রচলিত নীল পোশাক, ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র ও সুসজ্জিত পাগড়ির জন্য পরিচিত। পুলিশসূত্রে খবর, অভিযুক্তরা ওইদিন তাঁদের পরিচিত পোষাকে ছিলেন না। তৃতীয় অভিযুক্ত  অমৃতপাল সিং মেহরন এখনও নিখোঁজ। মূল ষড়যন্ত্রকারী সম্ভবত অমৃতপাল সিং। পূর্বে কোমলকে 'অশ্লীল' ভিডিও পোস্ট করতে বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছিল। তাঁকে একটি শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল। 

ষড়যন্ত্র করে মঙ্গলবার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় কাঞ্চন কুমারীকে। তারপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পুলিশ এমনই ধারণা করছে৷ পুলিশের মতে, হত্যার কয়েকদিন আগে অমৃতপাল সিং মেহরন কোমল কৌরের সঙ্গে কথা বলেছিল। তাঁকে ভাতিন্ডায় একটি বেতনভুক্ত প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে আসতে বলেছিল। শেষমেশ পরিকল্পনাটিতে রাজি করিয়েছিল। এরপর কোমলের নিজের গাড়িতেই বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘটনাটি ঘটে মধ্যরাতে৷ 

তিনজনের বিরুদ্ধেই হত্যা এবং প্রমাণ লোপাট করার মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অমৃতপাল আর নিমরতজিৎ উভয়ের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। ২০২১ সালে বার্নালার ধানুয়ালা থানায় একই রকম মোরাল পুলিশিং- এর জেরে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।