আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্টের ঘটনায় মারা গেছেন ১১ জন। আহত অন্তত ৩৩। কর্নাটকে কংগ্রেস সরকারের দিকে রীতিমতো আঙুল তুলে দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা বিজেপিকে জবাব দিতে কুম্ভ মেলার উদাহরণ টেনে আনলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।


ঘটনার সময় সিদ্দারামাইয়া স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‌এই ধরনের একাধিক পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী, এর থেকেও ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি সেগুলির প্রসঙ্গ তুলে সাফাই দিচ্ছি না.‌.‌.‌হয়ে গিয়েছে.‌.‌.‌কুম্ভ মেলাতেও হয়েছিল। কুম্ভ মেলায় প্রায় ৫০–৬০ জন মারা গিয়েছিলেন।’‌ এরপরই তিনি বলেন, ‘‌যদি আমার দলের তরফে সমালোচনা করা হয় সেটা অন্য ব্যাপার।’‌ 


মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সিদ্দারামাইয়া। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্দারামাইয়ার কথায়, ‘‌কোনও সাফাই দিচ্ছি না। আমাদের সরকার রাজনীতি করতে চায় না এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি বসানো হয়েছে।’‌ কর্নাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, ‘‌এই ঘটনার সঙ্গে কুম্ভের তুলনা চলে না। কুম্ভের ঘটনার সময় অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়েছিল। কেউ সেলফি তুলছিল না।’‌ পুলিশ অনুমতি না দেওয়ার পরেও কেন এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জোশী।


প্রসঙ্গত, ১৮ বছরে প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আরসিবি। মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরুর রাস্তায় রাস্তায় সেলিব্রেশন শুরু করে দিয়েছিলেন ভক্তরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের উপর উঠেছিল লাঠিচার্জের অভিযোগ। কিন্তু পরেরদিনই যে এই ঘটনা ঘটবে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। জয়ের আনন্দ বদলে গেল শোকে। চলে গেল ১১টি তাজা প্রাণ। আহত অন্তত ৩৩।