আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মেলেনি মন্ত্রীর কুর্সি। চটে লাল মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবিরের বিধায়ক নরেশ ভোণ্ডেকর। শেষমেষ ইস্তফাই দিয়ে দিলেন তিনি। শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের বিদর্ভের উপনেতা ও সমন্বয়কারী ছিলেন নরেশ। ওই পদ থেকে রবিবার সন্ধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন তিনবারের এই বিধায়ক।  

দলীয় পদ ছাড়লেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি ভাণ্ডারা-পাভানি কেন্দ্রের এই সেনা বিধায়ক। 

ফল প্রকাশের তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর রবিবার নাগপুরে দেবেন্দ্র ফড়নবিস মন্ত্রিসভার বাকিরাও শপথ নেন। ফড়নবিস সরকারের মোট ৪২জন মন্ত্রী রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ বিজেপির, ১১ শিবসেনার (শিন্ডে শিবির) এবং ৯ জন এনসিপি'র (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী)।  

দুপুরের মধ্যে সাফ হয়ে যায় যে, নরেশ ভোণ্ডেকর এ যাত্রায় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন না। এরপরই ওই বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে মেসেজ করেছিলেন। কিন্তু সাড়া পাননি। শেষে টেক্ট মেসেজ করেন শিন্ডে-পুত্র উদয় সামান্তকে। এ দিন উদয়-ও মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু নরেশের মেসেজের কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এরপরই অসন্তুষ্ট নরেশ দলীয় পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। ইস্তফার কথা শিন্ডে ও তাঁর পুত্রকে জানিয়ে দেন।

নরেশ ভোণ্ডেকার ছাড়াও, পিআরআই প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাভালের কোনও বিধায়ককেও মন্ত্রী করা হয়নি।। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভল জানিয়েছিলেন আঠাভাল। ফড়নবিস কথা রাখেননি অভিযোগ করে মোদি-শাহের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন। একই হাল হয়েছে, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির ছগন ভুজওয়ালেরও। শপথ অনুষ্ঠানে যাননি একনাথ শিন্ডে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী দীপক কেসারকর। নাগপুরের সাই-বাবা মন্দিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "বিধায়ক হিসাবে আমাকে অধিবেশনে যোগ দিতে হবে, আমি তা করব"।

মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি-নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট ২৩৫টি আসনে জয়লাভ করে। বিজেপি ১৩২টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়। শিবসেনা (শিন্ডে শিবির) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১টি করে আসন পেয়েছে।