আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে সংসদ কাণ্ডে উত্তাল আর একদিকে খাস দিল্লি উত্তাল আরও এক কারণে। কারণ রাজধানীতে, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীকে সকলের সামনে থাপ্পড় মারা হয় বুধ সকালেই। রেখা গুপ্তার উপর হামলার পরে দিল্লিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় বিজেপির জমানায় সেই প্রশ্ন যেমন ওঠে, তেমনই প্রশ্ন ওঠে, এই ঘটনার পর রেখা নিজে কী বলছেন তা নিয়ে। কী বলছেন এবং কী ভাবছেন? যে জন শুনানিতে থাপ্পড় খেলেন তিনি, তা কি আর চালু রাখবেন? নাকি দিল্লির মানুষের কথা শোনা বন্ধ করে দেবেন? 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 20, 2025

যদিও বুধ সকালের হামলার ঘটনার পর, প্রথম বার্তা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। তিনি এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন। তাতে লিখেছেন, 'আজ সকালে জন শুনানির সময় আমার উপর যে আক্রমণ করা হয়েছে তা কেবল আমার উপরই নয়, দিল্লির সেবা এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আমাদের সংকল্পের উপরও কাপুরুষোচিত প্রচেষ্টা। স্বাভাবিকভাবেই, এই হামলার পর আমি হতবাক হয়েছিলাম। তবে এখন আমি ভাল আছি। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করছি, দয়া করে আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য উতলা হবে না। খুব শীঘ্রই আমাকে আপনাদের মাঝে কাজ করতে দেখবেন। এই ধরণের আক্রমণ কখনওই আমার মনোবল এবং জনগণের সেবা করার সংকল্পকে ভেঙে দিতে পারবে না। এখন আমি আগের চেয়েও বেশি শক্তি এবং নিষ্ঠা নিয়ে আপনাদের মাঝে থাকব। জন শুনাই এবং জনসাধারণের সমস্যার সমাধান আগের মতোই গুরুত্ব এবং প্রতিশ্রুতির সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। আপনাদের আস্থা এবং সমর্থন আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আপনাদের অপরিসীম ভালবাসা, আশীর্বাদ এবং শুভকামনার জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 20, 2025

 

বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী রেখার বাড়িতেই চলছিল জনশুনানি। সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শোনার জন্য সপ্তাহে একদিন এই জনশুনানি চলে তাঁর বাড়িতে।  তখনই তাঁর চুল টেনে, কষিয়ে থাপ্পড় মারে এক যুবক। ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় হামলাকারীকেও। 

মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার উপর হামলাকারীর কী উদ্দেশ্য ছিল? ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলাকারীর নাম, রাজেশ সাকারিয়া। ৪১ বছর বয়সি যুবক আদতে গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশকে হামলাকারীর মা জানিয়েছেন, রাজেশ কুকুর ভালবাসে খুব। সম্প্রতি পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজেশ সকালবেলায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বাড়িতে হাজির হয়েছিল। সকাল ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। রাজেশের কোনও এক আত্মীয় বর্তমানে জেলবন্দি। সেই আত্মীয়কে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাকুতিমিনতি করছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাজে আর্জি জানানোর সময় হঠাৎ সে চিৎকার করে ওঠে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার চুল টেনে থাপ্পড় মারে। অনেকেই আবার জানিয়েছেন, রাজেশ মত্ত অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিল।