আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক ভারতীয় দাবি করলেন তার কাছে তার ঠাকুরদার আমলের একটি ৫০০ টাকার নোট রয়েছে। ওই ব্যক্তির দাবি এই নোটটি ৫০ বছর আগের। এরপর তিনি রেডিটের কাছ থেকে এই নোটটির দাম সম্পর্কে জানতে চান।


ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তার কাছে যে পুরোনো ৫০০ টাকার নোটটি রয়েছে সেটি ১৯৭০ সালের। তাই এই নোটটি খানিকটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যারা পুরোনো নোট জমা করেন এবং বিক্রি করেন তাদের কাছে এই নোটের দাম অনেক। তাই এই নোটের ছবি আমি সকলের সামনে আনলাম। যাতে এখান থেকে আমি অনেক বেশি টাকা পেতে পারি।


তার এই দাবির পর আসরে নেমে পড়ে রেডিট। তারা নোটের ছবিটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন। তারপর তারা জানান এই নোটের দাম বেশি হবে না। এখানে গভর্নর হিসাবে সি রঙ্গারাজনের নাম লেখা রয়েছে। তিনি আরবিআইয়ের দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯২ থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত। এই ৫০০ টাকার নোটটি ১৯৮৭ সালে প্রথম নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর ১০০০ টাকার একটি নোটও চালু করা হয়েছিল। ফলে ১৯৭০ সালের যে দাবি তিনি করছেন তা সঠিক নয়।

 


এরপর অনেকে লেখেন এই নোটের দাম ৫০০ টাকার বেশি হবে না। সেজন্য এটিকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতে হবে। তবে যেহেতু এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাই এর দাম সেখান থেকেও কম হতে পারে। তাই এটির জিরো ভ্যালু। 

 


তাহলে দেখা গেল যেমন সব পিতল সোনা হয় না। ঠিক তেমনভাবে সব নোট দামী হয় না। সকলকে বোকা বানিয়ে এই ব্যক্তি যে নোটটি নিয়ে এত কথা বলেছিলেন তিনি এখন চুপসে গিয়েছেন। এই ৫০০ নোট বিক্রি করে যে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন সেখানে তিনি একেবারে আকাশ থেকে মাটিতে পড়লেন। অতি দ্রুত নোটটি নিয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হল সেখান থেকে তার সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।