আজকাল ওয়েবডেস্ক: মিছিলে হেঁটেছেন দীর্ঘপথ। কেউ কেউ বলেন, পরিবার তাঁকে রাজনীতির ময়দানে যে সুযোগ দিয়েছে, তিনি সবটা নিয়ে চলতে পারলেন না। কেউ কেউ বলেন, এই প্রজন্মের কাছে রাজনীতির নয়া ন্যারেটিভ তৈরি করেছেন তিনি। মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে কখনও গিয়েছেন স্টেশনে,  কখনও গিয়েছেন প্রত্যন্ত এলাকায়। মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে, জানতে চেয়েছেন সমস্যার কথা। 

রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি সংসদ ভবন ছেড়ে সাংসদ হাজির খাদ্য বিপণন সংস্থার ক্যাফেতে। আচমকা ক্যাফেতে রাহুল গান্ধী! শুরুতে অনেকেই ভাবলেন, হয়তো কফি খেতে গিয়েছেন। কিংবা কাজ দেখতে। কিন্তু কেভেন্টার্সে পৌঁছে রাহুল যা করলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ! একে একে হাতে তুলে নিলেন ভ্যানিলা আইসক্রিম, তারপর মেলালেন কফি। বানিয়ে ফেললেন কোল্ড কফি। এই প্রজন্মে কেভেন্টার্সের মতো সংস্থাগুলির সঠিক ব্যবসা-পরিকল্পনা অর্থনীতিকে উন্নত করেছে বলেও উল্লেখ করেন রাহুল। 

দিল্লিতে শতবর্ষ পুরনো ক্যাফেতে গিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন কফি বানিয়ে। কফি বানিয়ে উপস্থিত ক্রেতাদের হাতে তুলেও দেন। স্বাভাবিকভাবে, রাহুল করছেন কফি পরিবেশন, তাতে  ভিড় জমে যায় একপ্রকার। কংগ্রেসের সাংসদ উপস্থিত ক্রেতাদের সঙ্গে কথোপকথনও চালান বেশ কিছুক্ষণ,তাঁদের কথা শোনেন মন দিয়ে। 

এই খাদ্য বিপণন সংস্থায় রাহুল শুধু কফি বানালেন, তা নয়। সংস্থার দুই মুখ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমন আরোরা এবং অগস্ত্য ডালমিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সংস্থার কাজের ধারা, বিনিয়োগ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচন করেন।