আজকাল ওয়েবডেস্ক: রথযাত্রা, মহাধুমধাম। তার পরেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। দেবতা দর্শনে গিয়ে পদপিষ্ট, মৃত্যু, হাহাকার। তবে, রবিবারের আগেও, প্রবল জনসমাগমে অসুস্থতার ঘটনা ঘটেছে পুরীতে শুক্রবার। শুক্রবার ১০ লক্ষ ভক্তের ভিড় হয়েছিল। ভিড়ের চাপে সেদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৬০০ মানুষ। ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। 

তারপরেই রবিবারের ভোর। শনিবার রাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে জগন্নাথ, বললাম ও সুভদ্রার তিনটি রথ এসে পৌঁছয় তিন কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা মন্দিরে। সেই মন্দিরের সামনেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। রথের রশি টানার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয় ভক্তদের মধ্যে। অগণিত ভক্তের ভিড়ে কয়েকজন হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান। ভক্তদের পায়ের তলায় চাপা পড়েন একাধিকজন। 

গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, বাসন্তী সাহু, প্রেমাকান্ত মোহান্তি এবং প্রভাতী দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত অন্তত আরও পঞ্চাশজন। 

কিন্তু উৎসবের মাঝে এই মৃত্য, পদপিষ্ট, হুড়োহুড়ির কারণ কী? সংবাদ মাধ্যমে কী জানাচ্ছেন উপস্থিত ভক্তরা, আহতদের পরিবারের লোকজন?

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভোর ৪টার দিকে, চরামালা কাঠ বোঝাই দুটি ট্রাক সারধাবালি এলাকায় প্রবেশ করে।

দুটি ট্রাকের অপ্রত্যাশিত আগমনের ফলে ভক্তদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, যার ফলে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং তিনজন শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণ হারান।


নিহতদের একজনের স্বামী অভিযোগ করেছেন,  ঘটনাটি ঘটার সময় দমকল, উদ্ধারকারী দল, হাসপাতাল কোনও পক্ষের কোনও কর্মকর্তা হাজির ছিলেন না সেখানে, ডাকে সাড়া মেলেনি বলেও অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আচমকা পরিস্থিতি খারাপ হয়। মানুষ একে অন্যের উপর পড়ে যাচ্ছিলেন ভিড়ের চাপে। প্রবল জনসমাগমে অ্যাম্বুলেন্স কোথায়? তা ভক্তদের থেকে অন্তত দু’ কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।