আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য ঘিরে শুক্রবার বিরোধী রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, “এই দেশে ইংরেজি ভাষায় কথা বলাকে লজ্জার বিষয় মনে করা সমাজ গঠনের দিন আর বেশি দূরে নয়।” তাঁর দাবি, ‘বিদেশি ভাষা’ দিয়ে ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্ম বোঝা সম্ভব নয়।
এর জবাবে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ইংরেজি যেমন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনি কর্মসংস্থানের দিক থেকেও তা অত্যন্ত জরুরি। তিনি অভিযোগ করেন, “আরএসএস ও বিজেপি চায় না গরিব ছেলেমেয়েরা ইংরেজি শিখুক, কারণ তারা চায় না তারা প্রশ্ন করুক বা সমান অধিকার দাবি করুক।” ডিএমকের কণিমোঝি মন্তব্য করেন, “লজ্জার বিষয় একটাই—সেটা হল জনগণের ওপর ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়ে ভারতের বহুভাষিক বৈচিত্র্য ধ্বংসের চেষ্টা করা।”
কেরলের শিক্ষামন্ত্রী আর. বিন্দু বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টারই অংশ। তাঁর মতে, বহু ভাষা শেখা জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ায়। সিপিআই (এম)-এর সাংসদ সন্দোষ কুমার অভিযোগ করেন, “শাহ ভারতের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে কলুষিত করে আরএসএস-বিজেপির সাংস্কৃতিক আধিপত্য চাপিয়ে দিতে চাইছেন।” তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এক্স-এ লেখেন, “ভারতের কোনও ভাষাকে লজ্জার কারণ হিসেবে দেখা উচিত নয়। ইংরেজি এক ঐক্যসূত্র, আন্তর্জাতিক সুযোগ এনে দেয়, এবং তা আজ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের চাহিদা।”
