আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই বিকানিরের কাছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বুস্টার ও নোজ ক্যাপ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই আবিষ্কারে জল্পনা বাড়ছে যে ভারতের পালটা অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, এই ধ্বংসাবশেষ ব্রহ্মোস উৎক্ষেপণের পর সাধারণত যে অংশগুলি ঝরে পড়ে, তার সঙ্গেই মিলে যায়। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক 'অপারেশন সিঁদুর'-এ বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরে নিখুঁত আঘাতের মিল থাকায়, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে।
ভারতের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা—যেমন রফিকি, মুরিদ, নূর খান, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর ও চুনিয়ান বিমানঘাঁটি এবং সিয়ালকোট ও পাসরুরের রাডার ইনস্টলেশনে আঘাত হানা হয়। সব কিছুরই লক্ষ্য ছিল কেবল সামরিক পরিকাঠামো, যাতে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি না হয়।
পাকিস্তানের তরফে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল শ্রীনগর থেকে শুরু করে নালিয়া পর্যন্ত প্রায় ২৬টি স্থানে। ভারতীয় বায়ুসেনা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বেশ কিছু শত্রু ড্রোন ও ইউএভি ধ্বংস করে।
আইএএফ-এর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানান, "আমাদের প্রতিক্রিয়া ছিল সুনির্দিষ্ট ও সীমিত। পাকিস্তানের দাবি করা ভারতীয় বিমানঘাঁটিগুলি ধ্বংস হয়েছে—তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।" ভারত সরকার উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করে সেই দাবি খণ্ডন করেছে।
এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর হলেও সীমান্তে গোলাগুলি ও ড্রোন তৎপরতা অব্যাহত। আইএএফ জানিয়েছে, "অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে এবং বিস্তারিত বিবরণ যথাসময়ে জানানো হবে।"
