আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্মার জেলায় সম্প্রতি এক তরুণীর মৃতদেহ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বলোট্রা-সাঞ্চোর মেগা হাইওয়ের ধারে এক ১৭ বছর বয়সী তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী দুদিনব্যাপী নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ থাকার দুই দিন পর রবিবার সকালে অবশেষে এক ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম সোরাকি দেবাসি। ঘটনার জেরে স্থানীয় পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ চাঁদ সিং জানান, রবিবার সকালে আসাদা এলাকায় রাস্তার ধারে এক ঝোপের মধ্যে তরুণীর দেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়। খবর অনুযায়ী, মৃতদেহ তখন অনেকটাই পচে গিয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সোরাকি বলোট্রা থেকে সিন্ধারি যাওয়ার পথে একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কা লেগে পড়ে যায়। গাড়ির গতি এতই দ্রুত ছিল যে সেটি প্রায় ২৫ ফুট দূরে ঝোপের মধ্যে ছিটকে পড়ে যায়। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময় স্থানীয়দের দৃষ্টি গাড়িতে থাকা আহত যাত্রীদের দিকেই বেশি ছিল। এর ফলে সোরাকিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ঘটনার পর সোরাকি বাড়ি না ফেরায় তাঁর এক আত্মীয় ১৫ আগস্ট জাসোল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অবশেষে ১৭ আগস্ট সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার জেরে স্থানীয় এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে এই অবরোধ। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বিধায়ক অরুণ চৌধুরী হস্তক্ষেপ করেন। তিনি মৃতার পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। অভিযুক্ত চালক, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ভয়াবহ সড়ক দু্র্ঘটনা। ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত এক থার গাড়ি চালক। বেপরোয়া থার গাড়ি চাপায় এক ব্যক্তির ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার প্রায় দু দিন পর অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। 

চলতি মাসে, আহমেদাবাদে নেহরুনগর এলাকার ঝাঁসির রানি মূর্তির কাছে সোমবার ভয়াবহ এক পথ দু্র্ঘটনা ঘটে। ভোররাতে আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে একটি বেপরোয়া গাড়ি একটি স্কুটারকে আচমকা ধাক্কা দেয়। এর ফলে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে উপস্থিত আরও একজন গুরুতর আহত হন৷ পরে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদের শনাক্ত করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতরা হলেন জামালপুর এলাকার বাসিন্দা আকরাম আলতাফ কুরেশি (২২) এবং আশফাক জাফর আজমেরি (৩৫)। তাঁরা দু’জনই একটি অ্যাক্টিভা স্কুটারে করে শিবরঙ্গিনী ক্রসরোডের দিকে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ২০ বছর বয়সি রোহন পারেশ সোনি নামক এক যুবক। ঘটনার দিন তিনি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। খবর অনুযায়ী, তাঁর গাড়িটি ওই স্কুটারকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা দেয়। এতই জোরে ধাক্কা মারে যে স্কুটারটি বিকৃত হয়ে যায় এবং ঝাঁসির রানি বাসস্ট্যান্ডের গেট পর্যন্ত ছিটকে যায়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আকরাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরদিকে আশফাককে গুরুতর আহত অবস্থায় জিএমইআর সোলা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সকাল ৫টা ২০ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, রোহন সোনির বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অভিযোগ যেমন অতিরিক্ত গতি, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো, এমনকি পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার অন্যতম। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, তাঁর নামে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা নথিভুক্ত আছে।