আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক। তার উপরেই চলত জোর। জোর ধর্ম বদলের। জোর চলত বিয়ে করার। প্রেমিকা রাজি না হতেই হেনস্থা, মারধোর। অভিযোগ, এই দুই কারণেই যুবতীকে কুপিয়ে, গলা কেটে চম্পট দেয় যুবক। মধ্যপ্রদেশের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
নেপানগর থানা এলাকার নাভারায় এই ঘটনা ঘটে। ৩৫ বছর বয়সী এক যুবতীর মৃত্যুর পরেই সামনে আসে গোটা ঘটনা। অভিযগের তীর বছর ৪২-এর ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই যুবতীর নাম ভাগ্যশ্রী নামদেব ধনুক। তাঁর ঘরের ভিতরেই শেখ রইস নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুপিয়ে এবং গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
ভাগ্যশ্রীর বোন সুভ্রদ্রা ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছে, রইস নামে ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই ভাগ্যশ্রীকে ধর্ম বদল করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছিল। জোর করত ধর্ম বদলে বিয়ে করার জন্য। কিন্তু যুবতী তাতে রাজি না হওয়ায় মাঝে মাঝেই তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত ব্যক্তি। চুলের মুঠি ধরে চলত মারধোর। সুভদ্রার অভিযোগ, একাধিকবার ভাগ্যশ্রী রাজি না হওয়ায়, সেদিন রাতে রইল তাঁর ঘরে ঢুকে গলা কেটে, কুপিয়ে খুন করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এসপি বুরহানপুর অন্তর সিং কানেশ নিশ্চিত করেছেন যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন ও নৃশংসতার ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। রইস নামের ওই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ধর্ম বদলের জন্য জোর করার অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে অন্য আলোচনা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা গোটা ঘটনাকে ‘লাভ-জিহাদ’-এর সঙ্গে তুলনা করছেন। ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ। অভিযোগ, তিন-চার দিন আগে ওই যুবতী রইসের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল, কিন্তু পুলিশ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেনি। কেউ কেউ আওয়াজ তুলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি হোক ব্যক্তির। কেউ কেউ ফাঁসি চেয়ে সুর চড়িয়েছেন।
প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী অর্চনা চিতনিস শোকাহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপে কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তের অবৈধ সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে বলেও জানা গিয়েছে। এসডিএম ভাগীরথ ভাখালা ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত দখলদারিত্ব এবং অবৈধ কার্যকলাপ করেছে। প্রশাসন বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে।‘
রবিবারেই সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল গুরুগ্রামে। গুরুগ্রামের বালিয়াওয়াস গ্রামের বাসিন্দা হরিশ শর্মা। বয়স ৪০। বিবাহিত। গ্রামে রয়েছেন স্ত্রী, দুই সন্তান। গ্রামে স্ত্রীকে রেখে শহরে আবার লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন ২৭ বছরের এক যুবতীর সঙ্গে। অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে লুকিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন হরিশ। লিভ-ইন সঙ্গী শুনে ফেলেন তা। বিপত্তি সেখানেই। পুলিশ জানাচ্ছে, সেই মুহূর্তেই দু’ জনের কথা কাটাকাটি, বিবাদ ঘটে। পরিস্থিতি এমন দিকে যায়, আচমকা বাক-বিতণ্ডার মাঝে যুবতী রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ বসান ব্যক্তির বুকে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয়েছে ব্যক্তির।

জানা গিয়েছে যুবতীর নাম যশমিত কৌর। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হরিশের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। তবে সম্প্রতি হরিশের স্ত্রী নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায়, প্রায়ি অধিক হরিশ ফোনে ব্যস্ত থাকতেন, যা একেবারেই ভাল চোখে দেখছিলেন না যশপ্রীত। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, যে ঘরে এই ঘটনা ঘোটে, ঠিক তার পাশের ঘরেই ওই ব্যক্তির বন্ধুও উপস্থিত ছিলেন। তাঁকেও আতসকাঁচের তলায় রাখছে পুলিশ। হরিশের আত্মীয়দের মতে, কৌর এবং বন্ধু বিজয় মিলেই হরিশকে খুনের পরিকল্পনা করেছে। ওই যুবতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, ইতিমধ্যে তিনি খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
