আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন। গলা কেটে স্ত্রীকে খুনের পরেও শান্তি হয়নি। কাটা মুণ্ডু নিয়ে গ্রামের পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছিল স্বামী। এক হাতে ছিল স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু, আরেক হাতে ছিল খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা অস্ত্র। ঘটনার দেড় বছর পর অভিযুক্ত স্বামীকে কড়া সাজার নির্দেশ দিল আদালত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি। উত্তরপ্রদেশের ভুলিগঞ্জ গ্রামে। লাল বাহাদুর নামের এক ব্যক্তি ফতেহপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন, বাসারা গ্রামের বাসিন্দা অনিল কুমার তাঁর মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে খুনের পরেও শান্তি হয়নি তার। এরপর এক হাতে স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু, আরেক হাতে খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা অস্ত্র দিয়ে গোটা গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছিল সে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বন্দনা ও অনিলের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলতেই থাকত। নিত্যদিন অশান্তির কারণে বিধ্বস্ত ছিলেন বন্দনা নামের মৃত যুবতী। বেশিরভাগ সময়েই বন্দনাকে চরম হেনস্থা করত অনিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, খুনের ঘটনার মামলা রুজু করে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর দ্রুত চার্জশিট দাখিল করা হয়। শুক্রবার বিচারপতি প্রতিমা শ্রীবাস্তব খুনে অভিযুক্ত অনিলকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই নৃশংস ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেও এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিল বেঙ্গালুরু। হাতে ছিল স্ত্রীর কাটা মুণ্ডু। দরদর করে ঘামছে যুবক। কাঁপতে কাঁপতে হাজির থানায়। যুবকের এই দশা দেখে শিউরে ওঠে খোদ পুলিশ। অবশেষে পুলিশের সামনেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করল যুবক। যা শুনেই চমকে ওঠেন সকলে। বর্তমানে পুলিশের জালে সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। আনেকাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ২৬ বছরের মনসা। কয়েক বছর আগে শঙ্করের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। খুদে কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। মনসা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত রয়েছে, তেমনটাই সন্দেহ করত শঙ্কর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরে পারিবারিক অশান্তির জেরেই মনসাকে খুন করে সে। তারপর কাটা মুণ্ডু নিয়ে থানায় যায়।
শঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে, ৩ জুন কাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। মনসাকে জানিয়েছিল, পরেরদিন সকালে ফিরবে। কিন্তু সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে আসে। মনসা বাড়িতে অন্য কারও সঙ্গে সময় কাটাচ্ছে কিনা, তা দেখতেই বাড়ি ফিরেছিল। সেদিনেই দু'জনের তুমুল অশান্তি হয়। এরপর বাড়ি ছেড়ে চলে যান মনসা।
শুক্রবার আবার বাড়ি ফিরে আসেন মনসা। হেনস্থা করার জন্য শঙ্করকে ব্যাপক কটুক্তি করেন। তখনই আবারও ঝগড়া, ঝামেলা হয় তাঁদের। গতকাল রাতে মনসাকে মারতে মারতে খুন করে শঙ্কর। এরপর মুণ্ডু কেটে, সেটি নিয়ে থানায় পৌঁছয়। স্ত্রীকে সহ্য করতে না পেরেই যে খুন করেছে, তাও জানায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শঙ্করকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
