আজকাল ওয়েবডেস্ক: মৃত মানুষ পুনরায় বেঁচে ফিরল? শুনতে অবাক লাগলেও ২৫ বছরের এক যুবক এমনই চমক দিলেন। মাত্র এক সপ্তাহের এক আশ্চর্য ঘটনায় ওই যুবককে নিয়ে ছত্তিশগড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেল৷ ছত্তিশগড়ের এক গ্রামে এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে তাঁর পরিবার তাঁকে মৃত ভেবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করে শোক পালন করছিল। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই ওই যুবককে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গেল! প্রথমে পরিবার যতটা গভীর শোকে ছিল, তেমনই এখন তাদের মুখে বিস্ময়, আনন্দের হাসি। এহেন ঘটনায় গোটা গ্রাম প্রথম হতবাক হয়ে গেলেও, পরে সকলে মেতে ওঠে উৎসবে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের নাম পুরুষোত্তম। গত ১ নভেম্বর সুরজপুর জেলার মানপুর এলাকায় একটি কুয়ো থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুরুষোত্তম পাশের চন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা। খবর অনুযায়ী, ঘটনার দু'দিন আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এই খবর পেয়েই তাঁর পরিবারের লোকেরা পুলিশের কাছে যান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্তোষ মাহাতো জানান, দেহটি দেখেই পরিবারের সদস্যরা ভুল করে সেটিকে পুরুষোত্তম বলে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় শ্মশানে ছেলের দেহটির সৎকার সম্পন্ন করে।
শেষকৃত্যের খবর পেয়ে পুরুষোত্তমের বাড়িতে দূর-দূরান্তের আত্মীয়-স্বজনরা আসতে শুরু করেন। আর ঠিক তখনই চমক। এক আত্মীয় এসে জানান যে, পুরুষোত্তমকে নাকি ৪৫ কিলোমিটার দূরে অম্বিকাপুরে দেখা গিয়েছে! খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের সকলে খোঁজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গত ৪ নভেম্বর এক আত্মীয়ের বাড়িতে পুরুষোত্তমকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁকে জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে আনতেই গ্রামে শোকের বদলে উল্লাস শুরু করে। আনন্দে সকলে হইহই করে ওঠে।
পুরুষোত্তম জানান, "আমি অম্বিকাপুরে গিয়েছিলাম। পরে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে, ভুল একজনকে আমি ভেবে আমার পরিবার এক মৃত ব্যক্তির সৎকার করে ফেলেছে।"
তবে, পুরুষোত্তম ভেবে তাঁর পরিবার যে দেহটি সৎকার করেছে, সেটি কার ছিল তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ জানতে পারেনি বলেই খবর। পাশাপাশি পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ডিএনএ নমুনা, আঙুলের ছাপ ও পোশাক সংরক্ষণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি জলে ডুবে মারা গিয়েছেন।
অন্যদিকে ছেলে ফিরে আসায় পুরুষোত্তমের মা মানকুঁয়রের আনন্দ এখন বাঁধভাঙা। তিনি বলেন, "আমাকে একটি ছবি দেখানো হয়েছিল। গ্রামের লোকেরাও বলেছিল ওটা আমার ছেলে। এখন ছেলে ফিরে এসেছে। এর চেয়ে বড় খুশি আমার কাছে আর কিছু নেই।"
