আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্র সরকারের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তে প্রবল সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

“‘বাধ্যতামূলক’ শব্দটি নীতিমালা থেকে বাদ দেওয়া হবে। তিন-ভাষা সূত্র বজায় থাকবে, তবে যদি কোনও শ্রেণিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী অন্য ভাষা পড়তে চায়, তাহলে স্কুলকে সেই সুযোগ করে দিতে হবে,” মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর জানান রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রী দাদাজি ভুঁসে।

১৭ এপ্রিল বিজেপি-শাসিত মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুযায়ী হিন্দিকে বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো হবে। এর ফলে মারাঠি ও ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি পড়ানো হতো।

ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষার ভিত্তিতে বিভাজনের অভিযোগ তোলে। কংগ্রেস একে “মারাঠি ভাষার উপর আঘাত” ও “রাজ্য স্বায়ত্তশাসনের হস্তক্ষেপ” বলে আখ্যা দেয়।

সরকার-নিযুক্ত ভাষা পরামর্শ কমিটির চেয়ারপার্সন লক্ষ্মীকান্ত দেশমুখও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।

সবমিলিয়ে প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল মহারাষ্ট্র সরকার।