আজকাল ওয়েবডেস্ক: নজিরবিহীন প্রতিবাদ। যা দাঁড়িয়ে দেখছেন পথচলতি সকলে। একটি দড়িতে বাঁধা রয়েছে বহু অভিযোগপত্র। সেই অবস্থাতেই সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে সরকারি আধিকারিকের দপ্তরে প্রবেশ করলেন! ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সেহোর জেলার বিষনখেদির। এলাকায় জলকষ্টের সমস্যা বহু দিনের। বহু আবেদন নিবেদনেও কাজ হয়নি। তাই এবার অভিনব প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন বিষনখেদির বজরঙ্গি।
বিষনখেদির বাসিন্দা বজরঙ্গি বুধবার সাংবাদিকদের কাছে জানান যে, তাঁর গ্রামে জল পাওয়া রীতিমত ভগবানের দেখা পাওয়ার সমান। তিনি বলেন, "আমি এখানে পানীয় জলের জন্য এসেছি। গ্রামের জল সংকটের কথা আমি জেলা কালেক্টর, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু, কিছুই হয়নি,। তাই আমি এখানে অভিযোগপত্র নিয়ে এসেছি।"
यह है भाजपा शासन काल में "जल जीवन मिशन" की असल सच्चाई...
— Rahul Raj | राहुल राज (@rahulraj_kisaan)
जल संकट की मार झेल रहे सीहोर के ग्राम बिशनखेड़ी के ग्रामीण बुधवार को जल संकट दूर करने के लिए प्रसाशन को दिए गए आवेदनों की पूछ बनाकर अजगर की तरह लेटकर कमिश्नर कार्यालय भोपाल तक पहुचे...
ग्रामीणों का कहना है कि सीहोर में… pic.twitter.com/23y0cbq9eNTweet by @rahulraj_kisaan
বজরঙ্গি তাঁর গ্রামের সরপঞ্চকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা না করা এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি দাবি করেন যে জলের অভাব এতটাই তীব্র যে মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সামান্য জল বহন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে, জেলার আধিকারিকরা বজরঙ্গির দাবির সঙ্গে একমত নন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ সাক্সেনা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান যে, বুধবার আধিকারিকরা বিষনখেড়ি পরিদর্শন করেন এবং দেখেন যে কমিউনিটি সেন্টারের কাছে জলের ঘাটতি রয়েছে। একটি বোরওয়েল খনন করে সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বোরওয়েলটিতে একটি পাম্প বসিয়ে ট্যাঙ্কে জল সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই গ্রামের জনসংখ্যা ২,১০০ এবং এখানে ২০টি হ্যান্ড পাম্প রয়েছে। যার মধ্যে ১২টি সচল।
সাক্সেনার মতে, গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে নিজস্ব জলের কল রয়েছে, যেখান থেকে অন্যান্য গ্রামবাসীরাও জল পান।
