আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও বিয়ের বয়স হয়নি। এমন পুরুষ ও নারীদের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে লিভ-ইন সম্পর্কে কোনও বাধা নেই। এই রায় দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। বিচারপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এটা সাংবিধানিক অধিকার যা খর্ব করা যাবে না। ১৮ বছর বয়সী এক মহিলা এবং ১৯ বছরের এক যুবকের দায়ের করা সুরক্ষার আবেদনের শুনানিকালে এই রায় দেন বিচারপতি অনুপ ধান্ড কোটার। ওই যুগল আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় একসঙ্গে বসবাস করছেন।
যুগল আদালতকে জানান যে, তাঁরা চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর লিভ-ইন চুক্তি করেছিলেন। আবেদনকারীদের অভিযোগ, মেয়েটির পরিবার সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিল এবং তাঁদের হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল। কোটা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
যুগলের আবেদনের বিরোধিতা করে, সরকারি আইনজীবী বিবেক চৌধুরী যুক্তি দেন যে, প্রাপ্তবয়স্ক হলেও যেহেতু ছেলেটি ২১ (পুরুষদের জন্য বিয়ের ন্যূনতম আইনি বয়স) বছর পূর্ণ করেননি, তাই তাঁকে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
সরকারি আইনজীবীর যুক্তি আদালত খারিজ করে দেয়। বিচারপতি জানান, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার কেবল আবেদনকারীদের বিবাহযোগ্য বয়স না হওয়ার কারণে অস্বীকার করা যাবে না। বিচারপতি অনুপ ধান্ড কোটার বলেন, "রাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।" বিচারপতিরপর্যবেক্ষণ, লিভ-ইন সম্পর্ক ভারতীয় আইনের প্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ বা অপরাধ নয়।
বিচারপতি অনুপ ধান্ড কোটার এবং যোধপুর (গ্রামীণ)-এর পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টদের আবেদনে বর্ণিত তথ্য যাচাই করতে, হুমকির বিষয়টি খচিয়ে দেখতে এবং প্রয়োজনে ওই যুগলের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
