আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিরিয়াল কিলার। শব্দ দুটি শুনলেই শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত নেমে যায়। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, মাত্র ৮ বছরের এক বালকের হাতেখড়ি হয়েছিল সিরিয়াল কিলার হিসেবে। অভিযোগ, অল্প বয়সেই তার হতে খুন হয়েছিল পরপর তিনটি শিশু। তাকেই পৃথিবীর কনিষ্ঠতম সিরিয়াল কিলার বলা হয়ে থাকে। 

 

এই ঘটনা বলার জন্য পিছিয়ে যেতে হবে ২০০৭ সালে। বিহারের মুশাহারে ছয় মাসের শিশুর খোঁজ মিলছিল না সেইসময়। শিশুর মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার করে।

 

পুলিশ তদন্তে নামলেও, শিশুর দেহ উদ্ধারের কয়েকঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনা সম্পূর্ন অন্য মোড় নেয়, যখন আট বছরের বালক অমরজিৎ সাদা গ্রামের মধ্যে জানায়, ওই ছয় মাসের শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সে। পুলিশকে শিশুর দেহ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিল সে নিজেই। অভিযোগ, শুধু ওই ছয় মাসের শিশু নয়, নিজের আট মাসের বোন এবং এক নয় মাসের তুতো-বোনকে হত্যার অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে।

 

২০০৭ এর ঘটনার পরেই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে অমরজিৎ-এর নানা কাহিনী প্রকাশ্যে আসে। তারমধ্যে অন্যতম ছিল, খুনের বিষয়ে তার এক ভয়ানক স্বীকারোক্তি। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা, ক্রাইম পডকাস্টারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, অমরজিৎ জানিয়েছিল, তিন জনের মধ্যে একজনকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে ইঁট-পাথর দিয়ে থেঁতলে মারে সে। সাদাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছিল, নজর ছিল তার মানসিক রোগের বিষয়টিতেও।

 

ক্রাইম পডকাস্টার স্টেপনি স্যু নিজের চ্যানেলে এই ধরনের সিরিয়াল কিলারদের মনস্ত্বত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগে তাদের আচরণ কেমন থাকে, কেন তারা এই ধরনের আচরণ করে থাকে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। জানাচ্ছেন, অমরজিৎকে তার নৃশংস হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের আগে, খুব নির্লিপ্ত ভাবে সে চা বিস্কুট খেতে চেয়েছিল। 

 

১৮ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে মুঙ্গেরের কাছে একটি রিমান্ড হোমে রাখা হয়েছিল। তথ্য অনুসারে এখন তার বয়স ২৩ কিংবা ২৪ হওয়ার কথা। তবে এখন সে কোথায়, তার কোনও খোঁজ নেই।