আজকাল ওয়েবডেস্ক: ত্রিপুরার আমতলীতে এক নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করার পর সারারাত মৃতদেহের পাশে কাটিয়ে সকালে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী। অবশেষে দুপুরে থানায় আত্মসমর্পণ করে সে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ত্রিপুরার আমতলী থানার অন্তর্গত হরি ওম আচার্য আশ্রম সংলগ্ন এক ভাড়া বাড়িতে। জানা গেছে, মৃতা বিউটি দাস ও তার স্বামী জগন্নাথ দাস দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
জগন্নাথ দাসের বাড়ি সিপাহীজলা জেলার বিশালগড় মহকুমার গৌতমনগর এলাকায়। রবিবার সকালে প্রতিবেশীরা জানান, জগন্নাথ তাদের জানায় তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠছে না। তারা দ্রুত গিয়ে দেখে বিউটি দাস নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে স্বামী নিজেই তাকে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, বিউটি দাস ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। এরপরই স্বামী জগন্নাথ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। দুপুরে সে আমতলী থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং প্রাথমিক জেরায় নিজের স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে।
আমতলী মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পারমিতা পান্ডে জানান, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে এবং একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ ডগ স্কোয়াড ও ফরেনসিক টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তদন্তের স্বার্থে ঘর থেকে বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
বিউটি দাসের দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও হত্যার পদ্ধতি স্পষ্ট হবে। এদিকে এই নৃশংস ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া প্রায়ই হতো, তবে এমন পরিণতি কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
আজ অভিযুক্ত স্বামী জগন্নাথ দাসকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
