আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত বিশ্বের কয়েকটি দেশে যে সাতটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল সেই দলের অন্যতম প্রধান ছিলেন শশী থারুর। নিউ ইয়র্কে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিগুলি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কংগ্রেসের এই বরিষ্ঠ নেতা ২০০৯ সাল থেকে কেরলের তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। বছরের পর বছর তাঁর সম্পদ এবং আয় জনসাধারণের আলোচনার বিষয়।
সংবাদমাধ্যম ডিএনএ-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার সময় শশী থারুর তাঁর সম্পদের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৫ কোটি টাকারও বেশি। ২০১৪ সালে যা ছিল ২৩ কোটি এবং ২০১৯-এ ৩৫ কোটি টাকা। মাত্র দশ বছরে তাঁর সম্পদ দ্বিগুণেরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তার অস্থাবর সম্পদের (নগদ, ব্যাংক আমানত এবং বিনিয়োগের মতো জিনিসপত্র) পরিমাণ ৪৯ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ১৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা, বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড এবং অন্যান্য বিনিয়োগ।
শশীর ৫৩৪ গ্রাম সোনার মালিক। যার মূল্য প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। তাঁর কাছে নগদ ৩৬ হাজার টাকা রয়েছে। তাঁর স্থাবর সম্পদের (জমি এবং সম্পত্তি) মূল্য ৬.৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে, পালাক্কড়ে আড়াই একর কৃষিজমি। যার মূল্য ১.৫৬ লক্ষ টাকা। তিরুবনন্তপুরমে ৬.২ কোটি মূল্যের ১০.৪৭ একর জমি। ৫২ লক্ষ টাকা একটি বাড়ি এবং দু’টি গাড়ি।
১৯৫৬ সালের ৯ মার্চ লন্ডনে এক মালয়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শশী। মাত্র দুই বছর বয়সে তাঁর পরিবার কেরলে ফিরে আসে। তিনি মুম্বই এবং কলকাতায় স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পিএইচডি লাভ করেন।
২০০৯ সালে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে তিরুবনন্তপুরম আসন থেকে জয়লাভ করেন। তারপর থেকে কেবল ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকার জন্যই নয়, বরং একজন শক্তিশালী বক্তা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের একজন সম্মানিত মুখ হিসেবেও পরিচিত।
