আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোয়ালিয়রের পিণ্টো পার্ক এলাকায় এক শিশুর চরম পরিণতি৷ খবর অনুযায়ী ভাড়া বাড়িতে কীটনাশকের বিষাক্ত গ্যাসে প্রাণ হারায় ওই শিশু। শিশুর বাবা মায়ের অভিযোগ বিষক্রিয়ায় প্রাণ হারিয়েছে তাঁদের চার বছরের শিশু। একইসঙ্গে তার পরিবারের আরও তিন সদস্য এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির মালিক কৃষ্ণ যাদব তাঁর বাড়ির তিনতলার বারান্দায় প্রায় ২৫০ কুইন্টাল গম মজুত করেছিলেন। সেই শস্যকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে তিনি বস্তাগুলিতে প্রায় ৫০টি 'সালফাস' ট্যাবলেট রেখেছিলেন। এই সালফাস ট্যাবলেটগুলি আসলে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড, যা আর্দ্রতা বা জলের সংস্পর্শে এলে মারাত্মক বিষাক্ত ফসফিন গ্যাস তৈরি করে।
খবর অনুযায়ী এই গ্যাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাড়ির নিচতলার ভাড়াটে পরিবারটি। সত্যেন্দ্র শর্মা (৫১), তাঁর স্ত্রী রজনী শর্মা, মেয়ে ছায়া (১৩), এবং ছোট ছেলে বৈভব (৪) রবিবার রাতে আচমকা মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরের দিন সকালে প্রতিবেশীরা দেখেন, চারজনই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৪ বছরের বৈভবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি তিনজন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।
ঘটনার পর পুলিশ ও ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ফসফিন গ্যাসেই শ্বাসরোধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর পরই ওই বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সালফাস একটি নিষিদ্ধ কীটনাশক। এটি ঘরোয়া ব্যবহারের জন্য বিক্রি করা যায় না। এরপরও বাড়ির মালিক গোয়াদের একটি সাধারণ বীজ ভান্ডার থেকে এটি কিনেছিলেন। এতেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে, এত বিপজ্জনক রাসায়নিক কী করে এত সহজে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
