আজকাল ওয়েবডেস্ক: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল জনতা দল (সেকুলার) এর প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার। এছাড়াও তাঁকে দিতে হবে ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা। বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এই সাজার নির্দেশ দিয়েছে। ৪৮ বছর বয়সী মহিলার উপর যৌন নির্যাতনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার নাতিকে শুক্রবারই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। শনিবার হল সাজা ঘোষণা।
সাজা ঘোষণার পরই মুখ খোলেন রেভান্না। প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার দাবি করেছেন যে, তিনি কোনও ভুল করেননি। প্রাক্তন সাংসদের বলেছেন যে, "অভিযোগ আমি একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করেছি, কিন্তু কোনও মহিলাই স্বেচ্ছায় অভিযোগ জানাতে আসেননি, তাঁরা নির্বাচনের (গত বছরের লোকসভা নির্বাচন) ছয় দিন আগে এসেছিলেন... অভিযোগকারীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁদের নিয়ে এসে অভিযোগ জানাতে বাধ্য করেছিল।"
কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গত এপ্রিল মাসে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল। তাতে পরিচারিকাকে জোর করে আটকে রেখে ধর্ষণ, সেই সময়ের ছবি ও ভিডিও তুলে রেখে পরে নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। শুক্রবার আদালত জানিয়েছিল, সিটের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
নির্যাতিতা মহিলার বয়স ৪৮ বছর। তিনি হোলেনারসিপুরায় রেভান্না পরিবারের মালিকানাধীন একটি বাগানবাড়িতে কাজ করতেন। অভিযোগ, তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে জোর করে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন প্রজ্জ্বল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালে, করোনা অতিমারির সময়। শুধু হোলেনারসিপুরার বাগানবাড়িতেই নয়, বেঙ্গালুরুর বাসগৃহেও তাঁকে ধর্ষণ করেন প্রজ্বল। প্রতিটি ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন প্রজ্বল। নির্যাতিতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, যদি তিনি কখনও এ নিয়ে মুখ খোলেন, তা হলে পরিণতি 'ভয়ানক' হতে পারে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২)(কে), ৩৭৬(২)(এন), ৩৫৪, ৫০৬ এবং ২০১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা দায়ের হয়েছিল ২০০৮ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬(ই) তম ধারার অধীনেও। উল্লেখ্য, এটি প্রজ্বলের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে একটি।
গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ১০ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে মোট চারটি এফআইআর দায়ের করা হয়। পৃথক মামলাও দায়ের করা হয় প্রজ্বলের বাবা হোলেনারসিপুরার বিধায়ক এইচডি রেভান্নার বিরুদ্ধে।
