আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তায় বেরিয়ে জল পিপাসা পাচ্ছে। ওমনি টুক করে এক দোকান থেকে জলের বোতল কিনে নিলেন। এরপর ঢক ঢক করে গলায় ঢাললেন। জানেন কী মারাত্মক ভুল করছেন আপনি? প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অব ইন্ডিয়া বা সংক্ষেপে এফএসএসএআই। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে পরীক্ষার আওতায় আনা হবে দোকানের বিক্রি হওয়া সিল করা জলের বোতল যা মিনারেল ওয়াটার বলেই বেশি পরিচিত। এতদিন পর্যন্ত বোতলের মধ্যেকার পানীয় জলের গুণমান পরীক্ষা করা হত না।
এই নতুন নিয়মের ফলে, সমস্ত প্যাকেজযুক্ত পানীয় মিনারেল ওয়াটার নির্মাতারা কী উপকরণ দিয়ে এই বিশুদ্ধ জল বানাচ্ছেন তা খতিয়ে দেখা হবে। গত ২৭ নভেম্বর এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সাধারণত যে কোনও খাবারের বা জল ছাড়া অন্যান্য পানীয়ের ক্ষেত্রে বছরে একবার কিংবা দুই বছরে একবার সরকারের খাদ্য দপ্তরের তরফে গুণমান পরীক্ষা করা হয়। তাতে উত্তীর্ণ হলে তবেই বজায় থাকে রেজিস্ট্রেশন। অনেক সময় গুণমান খারাপ হলে বাতিল করে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার রেজিস্ট্রেশন। এই কাজটি মূলত সরকারের তরফে তৃতীয় কোনও সংস্থার দ্বারা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কেক থেকে শুরু করে চানাচুর সবই।
এর আগে দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং মাংসের পণ্য, মাছ এবং মাছের পণ্য, ডিম এবং ডিমের পণ্য প্রভৃতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যের তালিকায় ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বোতল ভর্তি সিল করা পানীয় জলও। শুধু নিয়মিত পরীক্ষাই নয়, এরপর থেকে কোনও সংস্থা পানীয় জলের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে তাকে রেজিট্রেশন দেওয়ার আগেও খতিয়ে দেখা হবে জলের গুণমান।
